ঘাটাল জুড়ে মা লক্ষ্মী সাড়ম্বরে মহা ধুমধামে পুজিত হলেও নিজের তো দূরের কথা কোলের শিশুটির মুখেও দুমুঠো অন্ন জোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দাসপুরের সামাট রামগড়ের এ লক্ষ্মীকে।
মাঠের জলা জমির মাছ আর সপ্তাহান্তে রেসনের তিন কেজি চাল, একে সম্বল করেই কোনো ক্রমে বছর ঘুরছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একেবারে পশ্চিমে মাঠের মাঝে ঝুপড়িতে থাকা লক্ষ্মী দোলইয়ের।
বাড়িতে অসুস্থ স্বামী,দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগান দেওয়া যেন ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
ভৌগলিক ভাবেও বিপর্যস্ত এই পরিবার। সামাট হোসেনপুর রামগড়ের এই বিস্তীর্ণ মাঠ প্রতি বছর বন্যা ও বর্ষার জলে ভরেগেলে ঢুবে যায় লক্ষ্মীদেবির এই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও। সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় দিন কাটাতে হয়।
লক্ষ্মীদেবির স্বামী বীরেশ দোলই জানান,স্থানীয় পঞ্চায়েতে অনেকবার জানিয়েও গৃহ প্রকল্পের কোনো সুবিধা তিনি পাননি।।
তবে পঞ্চায়েত সূত্রে জানাগেছে বীরেশ বাবুরা এখন খাস জমির উপর আছেন। সরকারি বিভিন্ন গৃহ প্রকল্পের আওয়তায় আনতে গেলে গৃহকর্তার নিজস্ব জমি বা পাট্টাদার হতে হয়।
তবে জটিলতা কাটিয়ে লক্ষ্মীদেবির পরিবারকে কংক্রিটের পোক্ত ছাদের তলায় আনতে সচেষ্ট রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতও। শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস মিলেছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের তরফে।