উড়ো ফোনে লক্ষ্মী লাভের আশায় বেশ কয়েক হাজার টাকা খোয়ালেন ষাটঊর্ধ্ব বৃদ্ধা৷ দিন কয়েক আগে ফোনে একটি বাণিজ্যিক সংস্থার নাম করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও ৫ গ্রাম সোনার আংটির প্রস্তাব পান চাঁইপাটের শেফালি সামুই৷ বেশ কয়েকবার কথা বলার পরে, অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা বলে নিজের নাম ও ঠিকানা বিস্তারিত জানান শেফালিদেবী৷ সেই মতো শেফালিদেবীকে বলা হয়, পাঁচ গ্রাম ওজনের সোনার আংটি ও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা চেক কয়েক দিনের মধ্যেই ক্যুরিয়ারে পাঠানো হবে শেফালিদেবীর ঠিকানায়৷
মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp
শেফালিদেবী গ্রামপঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ করেন, খুবই সামান্য রোজগার৷ তাঁর আশা এবার তিনি লাখপতি হবেন! এতো টাকা নিয়ে কোথায় জমা করবেন, এই সব সাত-পাঁচ বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান শেফালাদেবী৷ বিষয়টি পাঁচকান করতে দেওয়া এখনি ঠিক হবে কী না সেই নিয়েও দ্বন্দ্ব চলতে থাকে মনের অন্দরে৷ ক্যুরিয়ার মারফৎ ওই পারসেল হাতে পেয়ে খুশির খবর প্রতিবেশীদের জানাবেন, এমনটাই ভেবে অপেক্ষায় দিন গুণতে থাকেন শেফালিদেবী৷ ১৯ ডিসেম্বর সকালে ক্যুরিয়ার পৌঁছায় শেফালিদেবীর ঠিকানাতে৷ নগদ ৩২০০ টাকা মিটিয়ে কুড়িয়ার হাতে নিয়ে, গোপনে প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ! চেকের বদলে রয়েছে একটি হিন্দি দৈনিকের পুরাতন খবর কাগজ ও সোনার আংটির বদলে একটি প্লাস্টিকের রিং৷ এর পরেই সংস্থার দেওয়া নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেন শেফালিদেবী, কিন্তু বহুবার চেষ্টা করেও ফোন মেলেনি৷ শেফালিদেবী বলেন, লটারি জিতেছি জেনেই পুরস্কারের আশা করেছিলাম৷ ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিকে বর্তমানে সংসার চলে৷ উপার্জনের টাকা এই ভাবে চলে যাবে এটা ভাবতেও পারিনি৷ স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব ধাড়া, সন্তোষ সামুই একযোগে জানান, উনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন সন্দেহ নেই৷ যদি আগে বিষয়টি আলোচনা করতেন তাহলে সতর্ক করতে পারতাম৷ ওনাকে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জমা করার পরামর্শ দিয়েছি৷