বীরসিংহে মহিলা কলেজ তৈরি নিয়ে একটি বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠক হল। ২০ ডিসেম্বর পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহে ওই বৈঠকটি হয়। যেখানে, নারী শিক্ষার দিশারী বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে মহিলা কলেজ স্থাপনের দাবি তোলা হয়। উপস্থিত প্রশাসনিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলেন, ২০২০ সাল বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ওই সালটিকে সামনে রেখেই আমাদের মহিলা কলেজ স্থাপনের দাবি জোরদার করে তুলতে হবে। সেই মতো প্রশাসনিক পর্যায়েও শিক্ষা দপ্তরসহ বিভিন্ন মহলে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির কমিটির সম্পাদক তথা বীরসিংহ হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ বেরা বলেন, কলেজ নির্মাণ ছাড়াও বৈঠকে একগুচ্ছ প্রকল্প গৃহীত হয়,ওই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, পথ নির্দেশিকা, পান্থশালা , বিদ্যাসাগর গবেষনা কেন্দ্র, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এর কৃষি বিভাগ, বীরসিংহ গ্রামে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং স্কুল থেকে কলেজ স্তরে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী ও লেখা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা। তাছাড়াও বীরসিংহে অলচিকি ভাষায় পড়াশুনা, পথবাতি ও ফলক লাগানোর বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের বিধায়ক শংকর দোলই, ঘাটালের মহকুমা শাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান, ঘাটালের বিডিও অরিন্দম দাসগুপ্ত, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা মান্না, সহ সভাপতি দিলীপ মাজি,বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্মৃতি মন্দির কমিটির সম্পাদক শক্তিপদ বেরা, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিকাশ কর, দাসপুর-২ ব্লকের বরুণা সৎসঙ্গ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরসিংহ হাইস্কুলের শিক্ষক হরগোবিন্দ দোলই, স্মৃতি মন্দিরের সদস্য সুব্রত ঘোষ, কোষাধক্ষ রামমোহন চক্রবর্তী, তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।