ঘাটাল লোকসভা আসনে তবে কি কিছু অঘটনের আঁচ পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন তৃণমূলের এ জেলার নেতারা। তাই যদি না হবে,তবে কেন জয়ের ব্যবধান ক্রমশ তলানিতে নামাচ্ছেন তাঁরাই?
১২ মে ভোটের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি ফলাও করে প্রচার করেছিলেন তাঁদের জয়ের ব্যবধান এবার ৩ লক্ষ ছাড়াবে যা আগের বারে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ছিল।
ঘাটাল লোকসভার জয় অনেকাংশেই নির্ধারিত হয় কেশপুরের ফল থেকে। আগের বার নির্বাচনেও দেবকে সবচাইতে বেশি লিড দিয়েছিল কেশপুরই।
এবার কেশপুরে মোট ভোটার ২০৫০৪৩৫ জন। এবার কেশপুরে ভোট পড়েছে ৮৫.২৭ শতাংশ। ভোট দিয়েছেন ২১৩৫৫৩ জন।
ভোটের পরেরদিন ১৩ মে সোমবার জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের ব্যবধান কমে আড়াই লাখে নামতে পারে। আর কেশপুর কত লিড দেবে? অজিতবাবুর স্পষ্ট উত্তর এক লাখ তো হবেই। অথচ গত পঞ্চায়েতে এই কেশপুরই লিড দিয়েছিল ১ লক্ষ ৬৯ হাজার। আর আগের লোকসভায় দেব এখান থেকে লিড পেয়েছিলেন ১লক্ষ ১৭ হাজার।
তবে কেশপুরে লিড কত থাকবে তার আঁচ করতে পারছেন না কেশপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান নিজেও। তাঁর বক্তব্য,লিড কত হবে তা ফল বেরোলেই জানা যাবে।
কেন কেশপুর নিয়ে বেসুরো শাসক দল?
জানা যাচ্ছে কেশপুরে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। নিয়নের বাইরে গিয়ে ভোট করানো এবার খুব সহজ ছিল না। বুথের সামনে জটলা,বাইক নিয়ে প্রবেশ দেখলেই তেড়ে এসেছিল সশস্ত্রবাহিনীর দল। এমন কড়াকড়ি আগে দেখেনি কেশপুর।
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভা নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য অবশ্য নড়বড়ে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,ততটা ডুবছি না,ফলেই বুঝতে পারবেন।