•রবীন্দ্র কর্মকার: হাঁটু থেকে বের হল শয়ে শয়ে নুড়ি পাথর! থুড়ি টিউমার। অবাক লাগছে? হ্যাঁ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমনই অবাক করা ঘটনার প্রচুর উদাহরণ রয়েছে, তার মধ্যে এটিও একটি। সম্প্রতি ঘাটালের নামকরা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান জিএফসি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে এমনই একটি ব্যতিক্রমী অপারেশন হল। প্রখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জেন ডাঃ অর্ণব কর্মকার একটি ১৭ বছরের ছেলের হাঁটু থেকে অপারেশন করে কয়েকশ কুঁচো পাথরের মত দেখতে টিউমার বের করলেন। ওই রোগীর নাম সুরজিত দাস (নাম পরিবর্তিত)। দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে হাঁটুর যন্ত্রণায় ভুগছিল রোগিটি। অনেক জায়গায় অনেক চিকিৎসা করেও কোনও সুরাহা পাচ্ছিল না সে। শেষমেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায় ওই রোগীর হাঁটুতে হাড়ের বাইরে রয়েছে বেশ কিছু অতিরিক্ত কার্টিলেজ যা দীর্ঘ দিন জমে থেকে থেকে শক্ত নুড়ি পাথরের মত আকার ধারণ করেছে। যার ফলে হাঁটুটি ফুলে ছিল, এবং যন্ত্রণায় কাবু করে রেখেছিল তাকে। ওই রোগীটির হাঁটু অপারেশন করে দেখা যায় ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক’শ অতিরিক্ত কার্টিলেজ ও মাংসের পিণ্ড নুড়ি পাথরের মত জমাট হয়ে ছিল হাঁটুতে। ডাঃ অর্ণব কর্মকার বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগের নাম ‘সাইনোভিয়াল কন্ড্রোমাটোসিস’। এর ফলে রোগীর হাঁটুতে সবসময় ব্যাথা ও যন্ত্রণা অনুভূত হবে। চলাফেরা করতেও খুবই অসুবিধে হবে। হাঁটু ফুলে থাকবে। রোগীকে ‘ডায়াগনস্টিক আর্থোস্কপিক রিমুভাল অব টিউমার’ অপারেশন করে ওই অতিরিক্ত কার্টিলেজ তথা টিউমারগুলি বের করে দেওয়ার পর রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। জিএফসি হাসপাতালের ওটি ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ রুইদাস বলেন, অপারেশনের পর টিউমারগুলি দেখে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অপারেশনের পর রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়। হাঁটু সুস্থ রাখার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে দেখুন: www.drarnabkarmakar.in অথবা ফেসবুকে: complete ortho care অথবা ইউটিউব চ্যানেলে: Dr. Arnab Karmakar Orthospeak.