২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় রত্নেশ্বরবাটীর লালু দাস হরিশপুর থেকে চোলাই মদ নিয়ে রত্নশ্বরবাটী হাইস্কুল চত্বরে তা বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপমহলের প্রমীলা বাহিনী বরাবরের মতো এদিনও গোপন টহলে ছিল। তাকে সামনে পেয়েই তার মদের দুটি ব্যারেল সহ ঘিরে ফেলেন প্রমীলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই প্রমীলা বাহিনীর সদস্য দুর্গা মালিক, করুণা মালিক এবং লক্ষ্মী সিং বলেন, কিন্তু লালু দাস ছুটে পালিয়ে গেলেও তার ১০০ লিটার চোলাই মদ আমরা আটক করে নষ্ট করে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ওই প্রমীলা বাহিনী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এলাকায় মদ বিক্রি ও মদ পান বিরোরী আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। মনোহরপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান জয়দেব দোলই বলেন, ওই প্রমীলা বাহিনীর জন্য এলাকায় মদ তৈরি পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু কিছু বহিরাগত ব্যক্তি লুকিয়ে এই সব এলাকায় চোলাই মদ বিক্রি করতে আসে। প্রমীলা বাহিনী তার জন্য নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করে। এদিনের লালু দাসের বিক্রি করতে আসা চোলাই মদ প্রমীলা বাহিনীই ধরে ফেলে।
- ছবিতে: চোলাই মদ ধরার পর প্রমীলা বাহিনীর সদস্যরা।