সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে ঘাটালে গুণীজনদের তত্ত্বাবধানে ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় তথা ঘাটাল কলেজটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পঁচিশ বছর পরে ১৯৮৬ তে এই কলেজটির রজতজয়ন্তী উৎসব হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই, কিন্তু ২০১১তে কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব দু’বছর ধরে খুব ধুমধাম সহকারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৩ তে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তির দিন একটি উৎসব স্মরণিকার আকাঙ্ক্ষায় সভায় শুরু থেকে শেষ আমিও সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কারোর মুখেই স্মরণিকার সম্বন্ধে একটি কথাও শুনতে পেলাম না। এ সম্বন্ধে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে তা এখনও প্রকাশিত হয়নি, পরে প্রকাশিত হবে। বছর দুই আগে অন্য একটি সভায় অধ্যক্ষের মুখে শুনলাম যে স্মরণিকার ব্যাপারটা অধ্যাপক লক্ষ্মণ কর্মকার জানেন। অধ্যক্ষ এব্যাপারে লক্ষ্মণবাবুর কাছে খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। দেখতে দেখতে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসও শেষ হয়ে গেল। এখনও সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণিকার কোনও খোঁজখবর নেই। এতে হাজার-হাজার ছাত্রছাত্রী মহলে এবং ঘাটালবাসীর কাছে কলেজের মান-মর্যাদা কোথায় পৌঁছেছে তা পরিচালকমণ্ডলী একটু খোঁজ খবর নেবেন! অন্য অনেকের মতো সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণিকার আকাঙ্ক্ষায় অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষায় রইলাম ৮৪ বছরের এই প্রার্থী। —বিমলকুমার পোড়ে||ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর