তৃপ্তি পাল কর্মকার:দুহাত ভরেছে মুখ্যমন্ত্রীর উপহারে। হাতে ল্যাপটপ, ঘড়ি, পেন,বই পদক, মানপত্র পেয়েও মনের গহীনে কালো মেঘ চন্দ্রকোণার কমলেন্দু দিন্ডার। মা সুতপাদেবীর চোখে জল। বাবা কালীপদ দিন্দা হিমঘরের সামান্য কর্মচারী ছিলেন। জমিজমা নেই। দু’বছর ধরে কাজ নেই। কোনও রকমে ঠোঙা তৈরি করে সংসার চলে যে পরিবারের তাদের বাড়ির একমাত্র সন্তান ভবিষতে ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চায়।
কমলেন্দুর বাড়ি চন্দ্রকোণা শহরের গোঁসাই বাজারে। এত দিন কোনওরকমে পড়াশোনার ব্যবস্থা চলে গিয়েছে। স্যারেরা পাশে ছিলেন, নানা দিক থেকে সাহায্য পেয়েই পড়াশোনা চলেছে চন্দ্রকোণা জিরাট হাইস্কুলের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র কমলেন্দু দিন্ডার। এ বছর মেধা তালিকায় নাম ছিল নবম স্থানে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা, জয়েন্টের মেধা তালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের ৫ অক্টোবর পুরস্কৃত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি বছর যে অনুষ্ঠান নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে হয় সেই অনুষ্ঠানটি এই করোনার জন্য প্রতি জেলার জেলা শাসকের অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হয়েছে। মেদিনীপুর জেলা শাসকের অফিসে ৫ অক্টোবর মা আর মামার সঙ্গে এসেছিল কমলেন্দু। সেখানেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা, জয়েন্টের মেধা তালিকায় থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপহারগুলি তুলে দেওয়া হয়। এই সব উপহার পেয়েও চোখে জল মেধাবী ছেলেটির। মেদিনীপুর ডে কলেজে ফিজিক্স নিয়ে ভর্তি হয়েছে কমলেন্দু। ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে বেলুড় ও নরেন্দ্রপুরে। এই কলেজে পড়ার খরচ খরচা কি করে চলবে সেই ভেবেই দুশ্চিন্তায় কমলেন্দুর পরিবার। রাজ্যের নবম কমলেন্দুর উচ্চ মাধ্যমিকের নাম্বার ছিল ৪৯১। বিষয় ভিত্তিক নম্বর ছিল বাংলা ৯১, ইংরেজি ৯৬, ফিজিক্স ৯৯, কেমিস্ট্রি ৯৯, ম্যাথ ৯৮, বায়োলজি ৯৯। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই মেধাবী ছেলেটির পাশে থাকতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন 9153012123 এই নাম্বারে।
•কমলেন্দুর সাক্ষাৎকার দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।