নিজস্ব সংবাদদাতা: এক সপ্তাহের ভেতরে ঘাটাল ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে চুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সহ ল্যাপটপ থেকে তথ্য লোপাট করার ঘটনায় চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে রহস্যর দানা বেঁধেছে ঘাটালে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘাটালের ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের তালা ভেঙে ল্যাপটপ চুরি ও আলমারি থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লোপাটের ঘটনা ঘটে। ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তরুন পালুই সেদিন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ওই রাতে অফিসের যে তিনটি ল্যাপটপ চুরি গেছে তাতে অফিসের নানান তথ্যও ছিল। একই সাথে তরুনবাবু বলেন, আলমারির তালা ভেঙে বেশ কিছু ফাইল ও অফিসের স্মার্টফোনটি হাতিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গত কাল ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘাটাল ব্লকেরই মনশুকা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ক্ষেত্রেও একই বিষয় উঠে এসেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পুতুল পাত্র জানিয়েছেন দুষ্কৃতীরা ল্যাপটপ ধেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিলিট করেছে কিন্তু ল্যাপটপটি নিয়ে যায়নি, অফিসের স্মার্টফোনটি খোয়া গেছে এবং সমস্ত আলমারি খোলা হয়েছে, আলমারির ভিতর থাকা নথিপত্রের কি আছে কি নেই তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
চুরির ঘটনায় দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীদের সম্পদ চুরিই যে মূল লক্ষ্য ছিল না তা কার্যত স্পষ্ট। উভয় চুরিতেই অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতানো বা লোপাট করার মিল রয়েছে। কারণ মনশুকা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের যে ল্যাপটপটি থেকে তথ্য লোপাট হয়েছে বলে প্রঞ্চায়েত প্রধান জানাচ্ছেন সেই ল্যাপটপটি গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ছাদ থেকে পাওয়া গেছে। তাই দুস্কৃতীদের যদি সম্পদ বা অর্থ হাতানোই মূল লক্ষ্য ধাকতো তাহলে ল্যাপটপ থেকে তথ্য ডিলিট বা তথ্য সরিয়ে না নিয়ে ল্যাপটপটি নিয়ে যেত। এখানেই বেঁধেছে রহস্যের দানা। পরবর্তীকালে অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও এই ঘটনার পুনারাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে নানান গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে বিজেপির ঘাটাল সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে বলেন, সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে, অফিসের কেলেঙ্কারি ঢাকতেই এই চুরির তত্ব সাজিয়ে কায়দা করে তথ্য লোপাট চলছে। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, চুরির ঘটনা শুনেছি কিন্তু ফাইল বা তথ্য লোপাটের বিষয়ে কিছু জানা নেই, পুলিশ তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার জানা যাবে।