সুইটি রায়: ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পালকে বিশেষ সম্মান প্রদান করলেন আদিবাসী সম্প্রদায়। গত ২৯ জুন ঘাটালের মহকুমাশাসককে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হেনস্থা করার লক্ষ্যে যে আদিবাসী সম্প্রদায় মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের চত্বরে কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেই আদিবাসী সম্প্রদায়েরই একাংশ আজ মহকুমাশাসকের অফিসে এসে তাঁকে সংবর্ধনা জানালেন। তাঁরা বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ আমাদের ভুল বুঝিয়ে মহকুমাশাসকের নামে কুৎসা রটিয়ে নিজেদের স্বার্থপূরণ ও অকারণ ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। মহকুমাশাসক অসীম পালকে আমরা দেবতার সমান শ্রদ্ধা করি। যে কোনও খারাপ পরিস্থিতিতেই উনি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা কখনোই ভুলবো না।
আজ ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য সুসজ্জিত হয়ে ধামসা-মাদল বাজিয়ে আদিবাসী নৃত্যের তালে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে আসেন। সেখানে তাঁকে মানপত্র এবং আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী সিধু-কানুর মূর্তি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আদিবাসীরা তাঁদের নিজেদের হাতের তৈরি বিভিন্ন রকম শিল্পকর্ম মহকুমা শাসককে উপহার হিসেবে তুলে দেন। এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বিশেষভাবে পরিচালনা করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়াও এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঘাটাল শহরের উৎসাহী বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বস্তুতই বর্তমান মহকুমাশাসক অসীম পালের আমলে মহকুমার আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রভূত উন্নতি সাধন হয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যেমন সর্বকালীন নজির সৃষ্টি করেছেন, তেমনই উপজাতিদের বার্ধক্য ভাতা ও অন্যান্য ভাতা পাওয়ার পথও সুগম করেছেন। শুধু তাই নয় করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে চারহাজার আদিবাসী পরিবারের হাতে তিনি ত্রাণসামগ্রী তুলে দিয়েছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। উপজাতিদের প্রতি তাঁর এই মহানুভবতাকে সম্মান জানাতেই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।