বাজলো স্কুলের ঘন্টা,পিঠে বইয়ের ব্যগ নিয়ে ছুটে এল ছাত্রছাত্রীরা। স্যারেরা ক্লাস নিলেন। করোনা পরিস্থিতে এ কথাগুলো শুনতে অবাক লাগলেও অসাধ্য সাধন করেছে জেলার দাসপুর ১ ব্লকের হাটসরবেড়িয়া বি সি রায় উচ্চ বিদ্যালয়। অভিভাবকদের ভুরি ভুরি আবেদন জমা পড়েছিল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটকের কাছে। আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সাথে মিটিং আর সেই মিটিং থেকেই সিদ্ধান্ত হয় কোভড ১৯ সংক্রমণের সমস্ত নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে চালু হবে পঠন পাঠন।
আজ ১২ আগস্ট বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এল এবং স্যারেদের পাঠদানে অংশ নিল। পুরানো ছন্দে বাংলা অংক ইংরেজি… সব পড়ালেন স্যারেরা,দিলেন বাড়ির কাজ। তবে বিদ্যালয় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কড়াকড়ি ব্যবস্থা রেখেছে। প্রবেশ পথেই থার্মাল স্ক্রিং,স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা সাথে মাস্ক এবং শ্রেনী কক্ষে সামাজিক দূরত্ব মেনে পঠনপাঠন। খুশি ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকেরাও। তাঁরা জানাচ্ছেন করোনার জেরে স্কুল বন্ধ,বন্ধ পড়াশোনা। কিন্তু থমকে নেই সময়। তাই অভিভাবকরা খুশি তাঁদের কথায় মান্যতা দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্লাস চালু করেছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশেই রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে বন্ধ পঠনপাঠন। তারই মাঝে দাসপুরের এই বিদ্যালয়ে শুরু পঠনপাঠন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবনবাবুর সাফ কথা,আমরা অভিভাবকদের আবেদনের ভিত্তিতে কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধের সমস্ত ব্যবস্থা করেই পরীক্ষা মূলকভাবে পঠনপাঠন চালু করেছি। আজ থেকে শুধুমাত্র দশম শ্রেনীর পঠন পাঠন চালু হল। সাফল্য পেলে আংশিকভাবে ছোটো ছোটো গ্রুপে অন্যন্য ক্লাসও চালু হবে। তবে শিক্ষা দপ্তর নির্দেশ দিলে আমরা ক্লাস স্কুল চত্ত্বরে বন্ধ রাখবো। তবে আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ের বাইরে কোনো খোলা নিরাপদ জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন জারি রাখবেন।