আজ ১১ নভেম্বর দুপুর প্রায় দেড়টা নাগাদ ভেঙে পড়ল কন্যাশ্রী সেতু।
২১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মান হওয়া কন্যাশ্রী সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের হাতে উদ্বোধন হয়েছিল।জানাগেছে সেতু লাগোয়া একটি পাকা বাড়ি সেতুর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লে সেতুটিও ভেঙে পড়ে। তখন দুর্ঘটনাগ্রস্থ ওই বাড়িটিতে মুর্শিদাবাদ থেকে আগত রাজমিস্ত্রী ও কর্মী সহ প্রায় জনাদশেক ছিলেন।
ঘটনা দাসপুর থানার গোছাতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চকসুলতান গ্রামে পলাশপাই খালের উপর কন্যাশ্রী সেতুর। সেতুর উপর ভেঙে পড়া বাড়ির মালিকের নাম মনোরঞ্জন সামন্ত। শুধু মনোরঞ্জন বাবুর বাড়ি নয়,পলাশপাই খাল পাড় বরারবর প্রায় সব বাড়িতেই দেখা দিয়েছে ফাটল। একাধিক বাড়ি দোকান ভেঙে পড়ার মুখে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান বাড়ি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য অরুন সামন্তের ফার্নিচার দোকান,দিলীপ সামন্তের হার্ড ওয়ারের দোকান,জগন্নাথ মান্নার সেলুন দোকান,আনন্দ সামন্তের ভুষিমাল দোকান,গোপাল সামন্তের সারের দোকান,কার্তিক চক্রবর্তীর বেনে দোকান,মন্টু সাউয়ের মাইক দোকান,তারকনাথ জানার স্টেশনারী দোকান,অমল পাত্রের চপ দোকান এবং অভিজিৎ ঘোড়ইয়ের মোবাইল দোকান।
এর জেরে ইতিমিধ্যেই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে এলাকাবাসীর। ঘটনার আকষ্মকতায় বাকরুদ্ধ সারা এলাকা।
দাসপুর ২ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ শাহু বলেন,আমি চকসুলতানের ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিপদজনক বাড়িগুলি থেকে মালপত্র ও মানুষদের অন্যত্র সরাবার নির্দেশ দিয়েছি। দাসপুর পুলিসের তরফে দুর্ঘটনাস্থলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিস মোতায়েন রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিদর্শনে আসেন ঘাটালের এস ডি পি ও কল্যাণ সরকার।
গ্রামেরই একাংশের মানুষ আজকের এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন পলাশপাই খালের অবৈজ্ঞানিকভাবে খননকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৮ সালে তৎকালীন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের উদ্যোগে মজে যাওয়া পলাশপাই খালের খনন কার্য শুরু হয়। বাম আমলে এই খাল কাটা হয়েছিল কাঁসাইয়ের অতিরিক্ত জল রূপনারায়ণে পাঠানোর জন্য। কিন্তু পরে এই খাল প্রায় মজে গিয়ে জল বহন ক্ষমতা হারায়। সম্প্রতি এই খাল খননের পর থেকেই এই শুধু চকসুলতান নয় এই খাল বরাবর খালের দুই পাড়েই শতাধিক বাড়ি একেবারে ধ্বংসের মুখে। এতি মধ্যেই বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি যা এই খালের ধারে প্রায় ২০০ ফুটের মধ্যে থাকা কোনো নির্মানই আর টিকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।