মনসারাম কর, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: নিজের চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন আগে ঘাটালের এক যুবতী শিক্ষিকা তার মাকে সাথে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরুতে। কিডনির সমস্যা ও রক্তাল্পতা নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন গত কাল ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। আজ ২৩ জুলাই শুক্রবার যুবতীর কফিন বন্দি নিথর দেহ গ্রামে ফিরতেই তাকে দেখতে ভিড় করেন গ্রামের মানুষ, চলে হা-হুতাশ আর কান্নার রোল। সর্বানী জানা নামে বছর ২৫ এর গ্রামের ‘বাড়ির মেয়ের’ মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। সর্বানীর বাড়ি ঘাটাল থানার বালিডাঙ্গা গ্রামে। বাবার নাম
শীতল জানা। কলেজের পড়াশুনা শেষ করে বছর তিন আগে কোমরা গালর্স হাইস্কুলে কম্পিউটার শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দেয়েছিলেন তিনি। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর খুশিতে ভরেছিল চার জনের ছোট পরিবার। জানা গেছে, অনেক পরিশ্রম করে সর্বানীকে পড়াশুনা শিখিয়ে বড় করেছিলেন তাঁর বাবা-মা। স্বপ্ন দেখেছিলেন একমাত্র মেয়ের ঘটা করে বিয়ে দেবেন। তাঁদের স্বপ্নের তরী যে এভাবে ডুবে যাবে তা বুঝতে পারেনি কেউ। কাঁদতে কাঁদতে সর্বানীর বাবা-মা উভয়েই এখন অসুস্থ। শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে কোমরা গালর্স হাইস্কুলের সভাপতি ড: শান্তনু বেরা দুঃখের সাথে জানিয়েছেন, সর্বানী খুব আস্থাভাজন ও কর্মদক্ষ শিক্ষিকা ছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত স্কুলের সকলেই।
আজ বিকেলে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর সকলেই তাঁক শ্রদ্ধা জানান, পরে গ্রামের মধ্যে কোনও শ্মশান চুল্লি না থাকায় দাহ করার জন্য মরদেহ আরামবাগে নিয়ে যাওয়া হয়।