বাবলু মান্না, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: পাঁচ দশক ধরেও মিলেনি জাতিগত শংসাপত্র। কোথায় আবেদন করলে জাতিগত শংসাপত্র পাওয়া যেতে পারে সেই ধারণাও নেই দাসপুর-২ ব্লকের উত্তরবাঁধের ২৬টি লোধা-শবর পরিবারের সদস্যদের। মঙ্গলবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের অনলাইনে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা হল।
উপস্থিত ছিলেন দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আশিষ হুদাইদ, দাসপুর-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ আলম, খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা বেরা, গোপীগঞ্জ-২ সংসদের সদস্য ইকবাল কাদের সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা যায় আজ থেকে প্রায় ৫০বছর আগে চন্দ্রেশ্বর খাল যখন প্রথম কাটাইয়ের কাজ শুরু হয় সেই সময় খাল কাটাই করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েশ শ্রমিক আসেন। খাল কাটাই শেষ হলে সিংহভাগই বাড়ি ফিরে চলে যান। তাঁদের কয়েকটি তপশিলি উপজাতি পরিবার বাড়ি না ফিরে উত্তরবাড় এলকায় বসবাস করতে শুরু করেন। ঝাড়গ্রাম থেকে কাজে এসে সেই সময় থেকেই তারা এখানে রয়ে গিয়েছেন।
রাজ্য সরকার তফশিলি উপজাতিদের জন্য বিশেষ অনুদানের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ওদের জাতিগত শংসাপত্র না থাকার কারণে সেই সমস্ত সুযোগ তাঁরা এখনও পাননি। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেন, আমাদের দল দল ক্ষমতায় এসেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে শুরু করে।
তৃণমূল নেতা বলেন, আমাদের এলাকায় মোট ২৬ টি লোধা পরিবার রয়েছে। তাঁদের কারোরই জাতিগত শংসাপত্র নেই। আজ আমরা একটি ক্যাম্প করে ওই তাঁদের ডাটাগুলি আপলোট করলাম। এনিয়ে আমরা মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যেই শংসাপত্রগুলি হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারব।