•আমি,সৈয়দ মিসবাবুল রহমান পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।বর্তমানে নাড়াজোল-১ চক্রের অন্তর্গত বালকরাউত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহশিক্ষক হিসাবে কর্মরত। আমার স্ত্রী একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারি,বর্তমানে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের এসএনসিইউ (SNCU) বিভাগে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হিসাবে কর্মরত। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ঘোষিত দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য বন্টনের জন্য যে বিশেষ নির্দেশিকা এসেছে এবং এই প্রকল্পকে কার্যকরী রূপ দেওয়ার জন্য যে বিশেষ কুপন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে তাকে সাধুবাদ জানাই। সেইসাথে এটাও জানাই যে বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সঠিকভাবে দারিদ্রতার মাপকাঠি পূর্ণমূল্যায়ন করে যাতে প্রকৃত গরিব মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে তা সুনিশ্চিত করার অনুরোধ করছি। সেটা সঠিকভাবে না করতে পারলে আগামীদিনে প্রকৃত গরিব মানুষগুলো ভয়ংকর বাস্তবের মুখোমুখি হতে চলেছে। এই ভুলে ভরা কর্মসূচির প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমি স্বয়ং। আমি আজ জানতে পারি আমি,আমার স্ত্রী এবং আমার বড় ছেলের জন্য বর্তমানে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার জন্য বিশেষ কুপন বরাদ্দ হয়েছে,যার ভ্যালিডিটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত রয়েছে। তারপর আমার নামে ওই শ্রেণীর পার্মানেন্ট কার্ড আসবে। কিন্তু আর্থ-সামাজিক শ্রেণীর ভিত্তিতে ওই জাতীয় কার্ড আমার পাওয়া উচিত নয়। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারলাম আগামী ছয়মাস কিছুই করার নেই ! কিন্তু আমার মনে হয় আগামী ছয়মাস তো দূর একটাদিনের জন্যও ওই কার্ড ধারন করা আমার উচিত নয়। রেশন দপ্তরের বিশেষ নাম্বারে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ,প্রকৃত সার্ভে করে গরিব মানুষগুলোকে সুরাহা দিন। সেইসঙ্গে অনুরোধ জানাই আমার আর্থ-সামাজিক কাঠামো বিবেচনা করে আমার বর্তমান রেশনকার্ড দ্রুত বাতিল করে যে রেশনকার্ড প্রাপ্য তা যেন দ্রুত পাই তার ব্যবস্থা যেন সুনিশ্চিত হয়।