মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: প্রশাসন ইচ্ছে করলে যে রকেট গতিতে কাজ করতে পারে এবছর দুর্গা পুজোর অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রেই তা প্রমাণিত হল। এবার আবেদন করার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুজো কমিটিগুলি তাদের পুজোর অনুমতি পেয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে মোট চার বছর ঘাটালের মহকুমা শাসকের অফিস থেকে অনলাইনে দুর্গা পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানালেন এবার সব চাইতে দ্রুততার সঙ্গে পুজোর অনুমতিগুলি দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসকের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার পুজো পারমিশনের দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল। তাই এবার তিনি ওই দায়িত্বে থাকার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।কারণ পুজো পারমিশন বিভাগের কর্মীরাও পুজোর পারমিশন দেওয়ার বিষয়ে খুবই তৎপর ছিলেন। সব মিলিয়ে এবার ‘টিম অজুন পাল’ এবার যা করে দেখালেন তাতে খুশি মহকুমার তিন শতাধিক পুজো কমিটি। দাসপুর-২ ব্লকের দুবরাজপুর সর্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল মণ্ডল, গোপালপুর দুর্গাপুজো কমিটির কর্মকর্তা সুমিত চক্রবর্তী বলেন, এত দ্রুততার সঙ্গে অনুমতি পাব ভাবতে পারিনি। অমিতবাবু বলেন, শুধু তাই নয় আবেদন করতে গিয়ে সমস্যা পড়ে ওই দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে সমস্ত বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের এক পুজো কমিটির সম্পাদক বলেন, আমরা ইন্টারনেট বুঝি না। সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে ওই দপ্তরে গিয়ে অনুরোধ করতে তাঁরাই আমাদের অনলাইনে আবেদন করে দিয়েছেন।
অর্জুনবাবু বলেন, সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা প্রায় সাড়ে তিনশ আবেদন পড়েছিল।যাদের পুলিশের অনুমতি বা ফায়ারের অনুমতির মতো জরুরি কাগজপত্র ছিল না এমন কয়েকটি বাদে সমস্ত পুজোকমিটির অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।