নিজস্ব সংবাদদাতা: চন্দ্রকোণায় যুগলকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পরকীয়ার শাস্তি দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ওই যুবকের নাম কার্তিক কারক। চন্দ্রকোণা থানার কুলদহে বাড়ি। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিস জানিয়েছে, কার্তিকের বিরুদ্ধে মহিলাকে মারধর, শ্লীলতা হানি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকের নাম পাওয়া যাবে বলে পুলিস আশাবাদী।
শুক্রবার রাতে এক গৃহবধু ও পাশের গ্রামের এক যুবককে একসাথে দেখে রটিয়ে দেওয়া হয় তারা আপত্তিকর অবস্থায় ছিল। দ্রুত গতিতে মোবাইল বন্দি হয়ে সেই ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হয়। ইলেকট্রিক খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয় যুগলকে। সারারাত ঝাঁটা জুতো লাঠি দিয়ে মার তো ছিলই, সেইসঙ্গে খাবার জলটুকু দেওয়া হয়নি। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেও যেতে দেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই যুবক আর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের কুলদহ গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে পাশের গ্রাম মনোহরপুরের এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে শুক্রবার রাতে গ্রামের লোকজন অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে তাদের টেনে হিঁচড়ে বার করে নিয়ে আসে। তারপরে তাদের গ্রামেরই এক বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর চালানো হয়।খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
শনিবার রাতেই কার্তিক কারককে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করার পরই ওই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ ও মহিলা বাড়ি ছাড়া। পুলিস জানিয়েছে, ভাইরাল ভিডিওতে ওই যুগলকে নির্মমভাবে মহিলা ও বৃদ্ধা থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের মানুষকেই মারতে দেখা গিয়েছে। ওই মোড়লপনায় বিরুদ্ধে পুলিস কঠোর হওয়ায় খুশি ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা।
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং পরকীয়ার শাস্তি: চন্দ্রকোণায় গ্রেপ্তার ১, বাকি পুরুষ ও মহিলা অভিযুক্তরা গ্রামছাড়া