তৃপ্তি পাল কর্মকার: অনেক লো-রেটে টেন্ডার ধরেই সমস্যায় পড়েছে ঠিকাদার। তাই [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] অর্থের সমস্যার কারণেই ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের কোনও গতি আসছে না বলে জানা গিয়েছে। রাস্তাটির কাজ ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিত্যযাত্রীরা বলেন, যে ভাবে কাজ এগোচ্ছে এই ভাবে কাজ চলতে থাকলে রাস্তার কাজ শেষ হতে আরও দু’ থেকে তিন বছর সময় লাগবে। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, সাময়িক ভাবে ওই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের গতি কম থাকলেও রাস্তাটি সঠিক সময়ে শেষ করার জন্য আমরা ঠিকাদারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি।
২০২০ সালের ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক রাজ্যের আরও কয়েকটি রাস্তার সঙ্গে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তা সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য ১৬৬ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। প্রোজেক্ট অনুযায়ী রাস্তাটিকে ১০ মিটার চওড়া করে মোট ৩১ কিলোমিটার ৭৫০ মিটার দীর্ঘ রাস্তাটিকে দু’লেনে রূপান্তরিত করার কথা রয়েছে। মেদিনীপুর হাইওয়ে ডিভিশন ওই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। ওই প্রোজেক্টে রাস্তাটিকে চওড়া করার কথা বলা হলেও প্রোজেক্টে খুকুড়দহ, গৌরা এবং ঘাটালের ব্রিজটি নতুন করে তৈরির বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি ব্রিজ আগামী দিনে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হবে।
ওই রাস্তাটির জন্য ১৬৬ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার বরাদ্দ হয়েছিল কিন্তু ঠিকাদার কাজটি পাওয়ার জন্য প্রায় ৪১ কোটি টাকা কমিয়ে ১২৬ কোটি টাকায় টেন্ডারটি ধরেছিল। ২০২০ সালের প্রথমের দিকের বাজার মূল্য অনুযায়ী রাস্তার জন্য প্রায় ১৬৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। ঠিকাদার সেটিকে আরও কম টাকায় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে। বর্তমানে বাজারমূল্যও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এই বাজার মূল্যে কাজটি শেষ করতে ১৫০-১৫৫ কোটি টাকা খরচ পড়বে। ফলে ঠিকাদারকে প্রচুর টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
সেজন্য ঠিকাদারের এই কাজটি করার পেছনে অনেকটাই অনীহাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তাটি করিয়ে নেওয়ার জন্য বার বার চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কাজের কোনও গতি বাড়ছে না।