স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে টাকা মেলেনি, হতাশায় বিষপান করে আত্মহত্যা নার্সিঙের ছাত্রীর

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের টাকার উপর ভরসা করে নার্সিংএ ভর্তি হয়েছিলেন চন্দ্রকোণা শহরের এক ছাত্রী। কিন্তু বিগত এক বছরেও কোনও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা পাননি তিনি। পড়াশোনার ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কারণে বিষপান করে আত্মহত্যা করলেন ওই ছাত্রী। বুধবার রাতে তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ছাত্রীর নাম তিথি দোলই। ১৯ বছর বয়স। চন্দ্রকোণা থানার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি। নার্সিংএর ওই ছাত্রী দ্বিতীয় বর্ষের ফি দিতে না পারার জন্য ১৪ আগস্ট হতাশায় বিষ পান করেন। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান।
ওই ছাত্রী বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার স্কুল অফ নার্সিঙের দ্বিতীয় বর্ষের পড়তেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বাবার স্বল্প জমি চাষ করে সংসার চলে। ছাত্রীর বাবা জয়দেব দোলই বলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পাবে বলে মেয়ে গত বছর নার্সিংএ ভর্তি হয়। আবেদন করার পর বহু জায়গায় যোগযোগ করেছে এখনও পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনও ঋণ পায়নি। ফলে তার তৃতীয় সেমেস্টারে বসা অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ কলেজ সতর্ক করে দিয়েছে টাকা না দিলে পরীক্ষায় বসতে দেবে না। সেজন্য আমার মেয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে অবসাদে ভুগছিল। ১৪ আগস্ট রাতে আমাদের অজান্তেই বিষপান করে। প্রথমে ওই ছাত্রীকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানেই সে মারা যায়। এদিকে স্টেট ব্যাঙ্কের চন্দ্রকোণা শাখার ম্যানেজার সান্টু কুমারস্বীকার করেছেন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার জন্য ওই ছাত্রীটি বহুবার ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিস্টেমে প্রয়োজনীয় নথি ঠিক না থাকার ফলে তাঁকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!