তনুপ ঘোষ: আজ ১৭ জানুয়ারি সকালে চন্দ্রকোণা শহরের জয়ন্তীপুরে এক গৃহবধূ রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকার তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গৃহবধূর নাম সোমা পাল। বয়স ২৬ বছর। সোমাদেবীর স্বামী বাইরে থাকেন। তাই গৃহবধূ তাঁর আড়াই বছরের এক মেয়েকে নিয়ে একাই শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। আজ সকালে তাঁর শোবার রুম থেকেই নিথর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে গৃহবধূর মেয়ে মায়ের সাড়া না পেয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। সে জানেই না কখন তার মা মারা গিয়েছে। ঘাটাল মহকুমা পুলিস
আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটি খুন বলেই মনে হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃতের স্বামী ও বাপের বাড়ির লোকেদের খবর দেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে যিনি সোমাদেবীর বাড়িতে দুধ দিতে যান তিনি এদিন বাড়ির মধ্যে কারোর সাড়া না পেয়ে ফিরে চলে যান। সম্ভবত তারই কিছুক্ষণ পরে গৃহবধূর মেয়ে রুমের মধ্যেই মায়ের সাড়া না পেয়ে জোরে কাঁদতে শুরু করলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তখন এক প্রতিবেশি রুমের দরজা খুলে দেখতে পান, সোমাদেবীর নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তার পাশেই তাঁর
শিশুকন্যা কাঁদছে। মৃতদেহের পাশে পড়ে রয়েছে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ, মদের বোতল। পুলিস মৃতদেহের গলায় আঘাতের চিহ্নও পেয়েছে। কী কারণে গৃহবধূ খুন হলেন তা তদন্তে নেমেছে পুলিস।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমাদেবী একা থাকলেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। কারোর সঙ্গে কথাবার্তাও বলতেন না। তবে সন্ধ্যার পর প্রায়ই অপরিচিত লোকেদের ওই বাড়িতে আসতে দেখা যেত। তাই অবৈধ সম্পর্কের জেরেই সোমাদেবী খুন হওয়ার বিষয়টিও পুলিস উড়িয়ে দিচ্ছে না।