বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে ঘাটাল কলেজ থেকেও সরানো হল

তৃপ্তি পাল কর্মকার: এলডি ব্যাঙ্কের পর ঘাটাল রবীন্দ্র শত বার্ষিকী মহাবিদ্যালয় থেকেও ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে সরিয়ে দেওয়া হল। আজ ১৪ আগস্ট রাজ্যে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সহকারী সচিব এক চিঠিতে ওই কলেজের নতুন কমিটির নাম পাঠিয়েছেন। যে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারীকে। সেই সঙ্গে ওই কমিটিতে সরকারি প্রতিনিধি করা হয়েছে অজিতরঞ্জন দে এবং প্রণয় ভট্টাচার্যকে। রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি করা হয়েছে কাজল সামন্তকে। প্রণয়বাবু  ঘাটাল ব্লকের সাদিচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। অজিতরঞ্জন দে ঘাটাল শহরে দীর্ঘদিন তৃণমূলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।  কাজল সামন্ত দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতের  উপপ্রধান। ওই তিন জনই শঙ্কর দোলই বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।
জুলাই মাসের শেষের দিকে শঙ্কর দোলইকে ঘাটাল এলডি ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এর পর কলেজ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে আরও কোণঠাসা করা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। প্রসঙ্গত, শঙ্করবাবু দীর্ঘ দিন ওই কলেজের সভাপতি থাকার সুবাদে তাঁর পুত্র তুফান দোলই ঘাটাল কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদটি ‘নিয়ম বিরুদ্ধভাবে’ আঁকড়ে ধরে রেখে ছিল। ওই কলেজের কয়েক জন অধ্যাপকের অভিযোগ, বাবা কলেজের সভাপতি থাকার ফলে তুফান কলেজের ছাত্র সংসদ কার্যালয়টিকে আড্ডা খানায় পরিণত করে  ফেলেছিল। তুফানের আমলেই ছাত্র সংসদের পাশের একটি রুমে মদের আড্ডাও বসত বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে ছাত্র সংসদের প্রশ্রয়ে  কলেজ ছাত্রীদের বেতন কার্ড আটকে রেখে তাদের নানা ভাবে ‘উত্যক্ত’ করার অভিযোগ আছে। শঙ্করবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে কলেজের ছাত্র সংসদে ওই ধরনের ‘কীর্তি’ আর হবে না বলে বেশ কিছু অধ্যাপক আশা প্রকাশ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
শঙ্করবাবুকে যে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে শঙ্করবাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!