ইন্দ্রজিৎ মিশ্র, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর টানা ৩ মাস ধরে নিখোঁজ দাসপুর থানার দক্ষিণ ধান্যখাল গ্রামের বছর ২৮ এর সামু শাউ।
[✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
সামু মুম্বাই এর এক হোটেলে কাজ করতো। সামুর দাসপুরের বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী এবং বছর ৫ এর এক কন্যা সন্তানের পাশাপাশি মাত্র ২ মাসের এক পুত্র সন্তানও আছে। ১ জুলাই ২০২৩ মুম্বাই থেকে ট্রেনে করে বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিল সে। ৩ জুলাই সে পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে ফোনে স্ত্রী পায়েলকে জানায় বন্ধু ভীম বেরা যার বাড়ি নাকি তমলুক থানার হাকুল্যা গ্রামে। সেখানে তাকে পৌঁছে দাসপুরের ধানখালের বাড়িতে ফিরবে সে। সেই শেষ কথা। অভিযোগ তারপর থেকেই সামুর মোবাইল সুইচ অফ। স্বামীকে ফিরে পেতে ইতিমধ্যেই খড়গপুর জি আর পি এস পাশাপাশি থানায় সামুর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তমলুকের সেই বন্ধু বাড়ি গিয়েও খোঁজ মিলেনি সামুর। অভিযোগ সেখানে গিয়ে মিলেছে তিরস্কার। অন্যদিকে স্বামী সামুর নিখোঁজের পিছনে হাত আছে সেই বন্ধু ভীম বেরার। এই অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা রজু হয়েছে সামুর পরিবারের তরফে। সামুকে খুঁজে পেতে বলাচলে সমস্ত রকম প্রয়াশ চলছে ওই পরিবারের তরফে। তবুও একটা একটা করে আজ ৯০ টা দিন চলে গেল, ছেলে বাড়ি ফেরেনি। চোখের জল বাঁধ মানছে না মায়ের, ৫ বছরের ছোট্ট মেয়েটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। স্বামীর কথা বলতে বলতে স্ত্রী পায়েলের দু’চোখ ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির উঠোন বসে ষাটোর্ধ্ব মা ছেলের ফেরায় আশায় আরও কত মাস কাটাবেন? গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে সামু। সংসার চালাতে মুম্বাইয়ে হোটেলের কাজে যাওয়া। বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ খোঁজ নেই টানা ৩ মাস! হতদরিদ্র বিশ্বনাথ সাউ এর ছেলে না হয়ে এই সামু কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে হলেও কি খোঁজ মিলিতনা সামুর?