কেয়া মণ্ডল চৌধুরী, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় চলমান কাজ নির্বিঘ্নে এগোচ্ছে। নদীর গভীরতা বৃদ্ধি ও জল ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের কাজের মধ্যেই দাসপুর-১ ব্লকের সুজানগরে রবিবার সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। ড্রেজিং চলাকালীন এলাকার কিছু মানুষ কাজ বন্ধ করার দাবি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট স্থানে তাঁদের জমি রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য তথা দাসপুর-২ ব্লকের বরুণা সৎসঙ্গে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এলাকার গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান,

পাশাপাশি জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা। সুজিৎবাবু জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং নিয়ম মেনেই কাজ চলছে।
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে এখন একযোগে একাধিক নির্মাণকাজ চলছে। পাম্প হাউস নির্মাণ, পরিকল্পনার আওতাধীন বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন এবং নদী খননের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। মূল লক্ষ্য বর্ষার সময় জল জমে থাকা কমানো এবং নদীর জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। সেই লক্ষ্যেই ড্রেজিংকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সুজিৎবাবু বলেন, রবিবার ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হতেই এলাকার কিছু চাষি ও স্থানীয় বাসিন্দা আপত্তি জানান। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, কাজের ফলে জমির সীমানা ও চাষের উপর প্রভাব পড়তে পারে। কাজ বন্ধ রাখার দাবি উঠলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করি। আলোচনায় স্পষ্ট করে জানানো হয়, কারও জমি সংক্রান্ত কোনও দাবি বা আপত্তি থাকলে তা নিয়মমাফিকভাবে সংশ্লিষ্ট ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে জানাতে হবে। সুজিৎবাবুরা আশ্বাস

দেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আশ্বাসে স্থানীয়রা শান্ত হন। শেষ পর্যন্ত সকল পক্ষের সম্মতিতে পুনরায় ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই কোথাও সমস্যা বা বিভ্রান্তি তৈরি হলে আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটিয়ে নেওয়া হবে।









