অতি বৃষ্টি খালের জল বেড়ে দাসপুর ২ ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ বাড় খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী চন্দ্রেশ্বর খালের পাড়ে বসবাসকারী ৩০ টি পরিবারের বহু বাড়িতে ফাটল, ভেঙেও পড়ছে বাড়ি।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০জন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অপরিকল্পিতভাবে চন্দ্রেশ্বর খালকাটা এবং খালের মাটির সঠিকভাবে না ব্যবহার করে সে মাটির কালোবাজারি আর তার ফলেই একে একে বাড়িগুলি পড়ছে। এলাকার তেতুলতলা থেকে শুরু করে গোপিগঞ্জ রূপনারায়ন নদী সংযোগস্থল পর্যন্ত চন্দ্রেশ্বর খালপাড়ে বসবাসকারী বহু পরিবার, জানা গেছে তারা কেউই নিজস্ব ব্যক্তিগত জায়গাতে বাড়ি করেছিলেন না।
এমন দুরাবস্থা মানুষগুলির পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা অনিরুদ্ধ আলম সহ শেখ করিম, সৈয়দ আফসাদ, একলসুর রহমান, ইকবাল কাদের, সৈকত রাযয়ে বেশকিছু গ্রামিবাসী। এঁদের সহায়তায়ই গৃহহীন পরিবারগুলি বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন খেপুত উত্তর বাড় আত্যয়িক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাদের থাকার পাশাপাশি দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এগিয়ে এসেছেন সাহায্যার্থে। যেমন আজ বৃহস্পতিবার চাইপাট আশার আলোর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয় দুর্গতদের হাতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে দাসপুর এর বিধায়ক মমতা ভূঁঞ্যা, দাসপুর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা দোলোই, সহ-সভাপতি আশীষ হুদাইত সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্ববৃন্দ দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে যান। দক্ষিণবাড় খেপুত গ্রামপঞ্চায়েত টি যৌথভাবে পরিচালিত হয় তৃণমূল এবং সিপিএম এর দ্বারা। অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনরকম সাহায্য পায়নি ওই পরিবারের লোকজন। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে বলা হয় বিষয়টি তাঁদের কাছে অজানা।
উল্লেখ্য ওই পরিবারগুলি দীর্ঘ ৩০বছর ধরে এই জায়গাতে বসবাস করে আসছিলেন। বাড়ি ধসে পড়ায় ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা চিন্তিত। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। গোপিগঞ্জ 2 সংসদের সদস্য শেখ ইকবাল কাদের বলেন গ্রাম পঞ্চায়েত যদি কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করে , তাহলে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে বাধ্য হব।