মনসারাম কর: কিষান সম্মান নিধির ফর্ম জমা করতে লাগছে জমির সাম্প্রতিক রেকর্ড। অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে এই রেকর্ড দেয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। কিন্তু একদিকে যখন কিষান নিধির টাকা পাওয়ার জন্য ফর্ম জমা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কৃষকরা অন্যদিকে তখন জমির রেকর্ড পেতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের মধ্যে। আবেদনকারীরা জানাচ্ছেন দু-সপ্তাহ আগে অনলাইনে আবেদন করেও এখনও তাতে সই করেনি ভূমি দপ্তর। এদিকে ভোট ঘোষনা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিষান নিধির ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ। স্বভাবতই আবেদনকারীদের মধ্যে একটা ধোঁয়াশা কাজ করছে রেকর্ডের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ফর্ম জমা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবেদনকারীদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে ঘাটালের অনলাইন সেন্টারগুলির উপর। ক্ষোভের শিকার হয়ে অনলাইন সেন্টারগুলিও জোট বাঁধছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ঘাটালের কালিসা সিংহডাঙা মনশুকা সহ বিভিন্ন অনলাইন সেন্টার ও তথ্যমিত্র কেন্দ্রের মালিকরা একযোগে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ঘাটাল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দিকে। তাঁদের অভিযোগ ভূমি সংস্কার দপ্তর দু-সপ্তাহ ধরে অনলাইন রেকর্ডে সই করছে না। অনলাইন সেন্টারগুলির আরও অভিযোগ গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দপ্তরের অন্দর থেকে অন্যভাবে রেকর্ড পাশ হচ্ছে অথচ তাঁদের আবেদনে সই করছে না দপ্তর।
ঘাটাল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অসীম ঘোড়ই গোপন আঁতাতের মাধ্যমে রেকর্ড দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি বলেন এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যা থাকায় সময়ের মধ্যে তাঁরা রেকর্ড ছাড়তে পারছে না, সম্প্রতি এই দপ্তর এক জায়গা থেকে অন্যজায়গায় স্থানান্তর হয়েছে। নতুন অফিসে এখনও বিএসএনএল এর হাইস্পীড সোয়ান কানেকশনের ব্যবস্থা হয়নি। অফিসে যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট রয়েছে তার স্পীড অত্যন্ত কম, তাই কাজের ঘাটতি হচ্ছে। অসীমবাবু আরও বলেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ধারাবাহিকভাবে নানান অনৈতিক কাজের জন্য ঘাটাল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে।তবে সরকারি অফিসের প্রযুক্তিগত সমস্যা যাই থাক আবেদনকারী কৃষকদের দাবি ভূমি দপ্তর যখন রেকর্ড দেবে তখনই কিষান সম্মান নিধির ফর্ম জমা নিতে হবে কৃষি দপ্তরকে, এই কাজে সরকারের দুই দপ্তর যেন নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। ঘাটাল কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের ফর্ম জমার শেষ তারিখ নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি, তবে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগে পর্যন্ত চলতে পারে ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ।