মন্দিরা মাজি,’স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল:যে গ্রাহকদের পুঁজিতে ব্যাঙ্কের বাড়বাড়ন্ত সেই গ্রাহকরাই রোদে জলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। KYC থেকে ব্যঙ্কের পাশ বই আপডেট,পেনশনের লাইভ সার্টিফিকেট থেকে নিজের টাকা সময়ে ব্যাঙ্ক থেকে না পাওয়া নিয়ে দাসপুরের রাজনগরের এলাহাবাদ যা সদ্য নাম পরিবর্তন হওয়া ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক তার পরিসেবা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রাহকরা। সারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই একটিই মাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্ক। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অরুন দোলই ও পঞ্চায়েত সদস্যরা ইন্ডিয়ান ব্যঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজারকে সরাসরি অভিযোগ জানান। কিন্তু ফল কিছুই হয়নি। সমস্যা সেই তলানিতেই। উপরন্তু শাখার বর্তমান ম্যানেজার সাফ জানাচ্ছেন ব্যঙ্ক পরিসেবায় তেমন কোনো সমস্যাই নেই।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ একই ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে লাইন দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই। ব্যাঙ্ক খুলতেই গ্ৰাহকদের জানানো হয় আজও লিঙ্ক নেই। হতাশ হয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন, আবার কেউ বসে রয়েছেন লিঙ্ক আসার অপেক্ষায়।
গ্ৰাহকদের অভিযোগ, এ সমস্যা দু-চার দিনের নয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে এই সমস্যা। আর হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও মিলছে না পরিষেবা। শুধু তাই নয়, বয়স্কদেরও ফর্ম জমা দিতে আসতে হচ্ছে ব্যাংকে। কিন্তু সঠিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা না পাওয়ায় নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তাঁরাও। ব্যাঙ্কে আসা মহিলারা বলেন, ব্যাঙ্কে নানান দরকারে আসতে হয়। এই নিয়ে তিন-চার দিন হল লিঙ্ক নেই বলে আমাদের ঘুরে যেতে হচ্ছে। আমরা গৃহবধূ, বাড়ির কাজকর্ম ফেলে আসতে হয়। কিন্তু এইভাবে প্রতিদিন লিঙ্ক নেই বলে ঘুরে যেতে হয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের এই ব্যাপারে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। দীর্ঘদিন ধরে কেশপুরের প্রাক্তন বিধায়ক রামেশ্বর দোলইও এই ব্যঙ্কের গ্রাহক। আজ তিনিও এই ব্যঙ্কের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উগরে দিলেন। যদিও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের রাজনগর শাখার ম্যানেজার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান সমস্ত অভিযোগ তাঁকে লিখিত আকারে দিতে হবে।