শুভম চক্রবর্তী:করোণা পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে, বেরিয়েছে করোনার টিকা। ধাপে ধাপে টিকাকরণও শুরু হয়েছে। একই সাথে অন্যান্য ব্যবসাগুলিও ধীরে ধীরে মাথা তুলতে শুরু করলেও এখনও অন্ধকারের ঘনঘটা মৃৎ শিল্পীদের ঘরে ঘরে।গেল বছর করোনার জেরে তেমনভাবে হাতে কাজ ছিল না। বন্ধ হয়েছিল অধিকাংশ পুজোই আর যে কটি পুজো হয়েছিল তারও বাজেটে হয়েছিল ব্যাপক কাটছাঁট। শিল্পীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন বছর শেষে অন্তত সরস্বতী পুজোয় তাঁরা হয়তো কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন। কিন্তু বাগদেবীর আরাধনা হয় প্রধানত যে সমস্ত জায়গাগুলিতে অর্থাৎ বিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি নির্দেশে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ। ফলে আদৌ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলতি বছর বাগদেবীর আরাধনা হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ঘাটাল মহাকুমার মৃৎশিল্পীরা। ঘাটাল মহকুমার অধিকাংশ মৃৎশিল্পীরই বক্তব্য হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে কোনো সাড়া মিলছে না।অন্যান্য বছর যে পরিমাণ আমরা অর্ডার পেতাম তার থেকে অনেক কম অর্ডার এবছর এমনিতেই গেল বছর তেমন কোনো কাজ ছিল না হাতে আশায় ছিলাম বছর শেষে হয়তো সরস্বতী পুজোয় কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবো কিন্তু করো না যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মৃৎশিল্পের। এর মধ্যেও যে ক’টি ঠাকুর তৈরীর অর্ডার আমরা পেয়েছি তা বাজেট আগের বছরের থেকে অনেক কম। ঠাকুর তৈরি করে লাভ করা তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠবে কিনা সে নিয়ে খুবই চিন্তায়।
সব তবে সরকার যাই বলুক না কেন সরস্বতী পুজোর পরেই করোনা হয়তো ভ্যানিশ হয়ে যাবে এমনই আশাবাদী ছাত্র মহল। তারা বিশ্বাস করে সরস্বতী পুজোর পরেই হয়তো স্কুল খুলেযাবে।আবার তারা ফিরতে পারবে নিজেদের জগতে। তাই তারা সময় পেলেই সুযোগ পেলেই প্রবল উৎসাহে ভীড় জমাচ্ছে কুমোর পাড়ায়।•ভিডিও