সুইটি রায়: করোনা পরিস্থিতিতে আবার ঘাটাল মহকুমার মহকুমাশাসক অসীম পালের মানবিক মুখ দেখল মহকুমাবাসী ।দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনার দাপট। আর এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে বেড়ে চলেছে লকডাউনও। তাই গৃহবন্দী গোটা দেশবাসী। সমস্যায় পড়ছেন সকলেই তবে খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষগুলো আরোই অসহায়। কারণ প্রতিদিনকার ভাতের সংস্থানের জন্য তাদের বাড়ির বাইরে বেরোতেই হয় আর নাহলে পেট ভরাতে হয় জল খেয়ে। তাই গৃহবন্দী থেকে তাদের সংকট বেড়েই চলেছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল সর্বদাই মহকুমার এই সমস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর মানবিক রূপের পরিচয় দিয়েছেন। আজ ১৪ মে ঘাটালবাসী আবার অভিভূত হল তাঁর মানবিক রূপে। আজ মহকুমার জলসরা,রাধানগর,আলুই ও দন্দীপুর এর মোট ৩৫০ টি আদিবাসী পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল ও তাঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম। এক একটি প্যাকেটে ছিল সরষের তেল,লবণ, আটা, মুসুর ডাল, আলু, সোয়াবিন আর পেঁয়াজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে এই ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছিল এটি তার তৃতীয় দফা। প্রথম দফায় ১১০০ টি ও দ্বিতীয় দফায় ১৪০০ টি উপজাতি পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং এই দফায় ২০০০ টি উপজাতি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। যে সমস্ত সহৃদয় ব্যক্তিবর্গ মহকুমা শাসকের সহৃদয় আহ্বানে মহকুমার করোনা দুর্গত উপজাতি পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা হলেন রামজীবনপুরের স্বপন গায়েন, হরিপ্রসাদ লাহা এবং অভিজিৎ মাল। রাজনগরের অশোক কর, জগন্নাথপুরের তুষার মন্ডল, জাড়ার শান্তি চন্দ , দাসপুরের অঞ্জলি হার্ডওয়ার, ঘাটালের বিদ্যুৎ কুমার সামন্ত, কল্পনা রানী বেরা শৌভিক বেরা,সৌরিশ বেরা,লক্ষ্মী মান্না, সঞ্জয় ঘোষ এবং মেসার্স গোষ্ট বিহারী দত্ত অ্যান্ড সন্স । দাসপুর ২ ব্লকের তপতী মন্ডল, যশোড়ার চন্দনা মন্ডল। চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান অরূপ ধাড়া। চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের কোল্ডস্টোরেজ মালিকগণ।নিমতলার তপন প্রামানিক, কুশপাতার রামপদ দাস, গৌতম মাজি। ঝাড়গ্রামের কাদোডিহার মোহিত কুমার হাঁসদা। হুগলির দেবখন্ডের স্বর্গীয় দিলীপ পাল এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্ত্রী সুতপা পাল। রামজীবনপুরের জয় মা রক্ষা কালী রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড।মহকুমাশাসকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মহকুমাবাসী।