নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ: বাঙালি মানেই সম্পর্কের সূচনা থেকে কারণে অকারণে মিষ্টিমুখ। দোকানদারের মুখের মিষ্টতায় মিষ্টি তো কেনেন, কিন্তু উঁকে দিয়ে দেখেছেন আপনার প্রিয় সব মিষ্টি তৈরির অন্দরমহল? তবে আপনার আমার শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ঘাটালের ফুড সেফটি অফিসার অরুণাভ দে নিরন্তর ঘাটাল জুড়ে বিভিন্ন খাবার দোকানে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে চলেছেন। আজ ১১ জুলাই সোমবার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে অভিযান চালানো হয় দাসপুর বাজারের এক মিষ্টি দোকানে। আঢাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার, বাসি পচা মিষ্টিতে মাছি ভনভন করছে। পাশের ড্রেন থেকে মিষ্টির উপর মাছি এসে বসে আপন সুরে গান গাইছে। সেই মিষ্টি বিক্রি করে দোকান মালিক মুনাফার হিসেব খাতায় তুলে চলেছেন। এমন সময়ই হানা অফিসারের। সমস্ত দোকান, তারসঙ্গে দোকানের পরিবেশ সাথে মিষ্টি তৈরির বেহাল দশা দেখে হতবাক ফুড সেফটি অফিসার অরুণাভ দে। তিনি জানান, মিষ্টি দোকানটির ফুড লাইসেন্সও নেই। তিনি ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছেন। তার মধ্যে ওই দোকানে মিষ্টি তৈরির ব্যবস্থাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। খাদ্যদপ্তরের এই ঝটিকা অভিযানে খুশি দাসপুরবাসী। তবে তাঁরা চান ছোটোখাটো মিষ্টির দোকানগুলির পাশাপাশি ঝলমলে আলো আঁধারি রঙিন আলোর মোড়কে মোড়া এলাকার নামি-দামি খাবারের দোকানগুলিতেও এই অতর্কিত অভিযান চলুক। কারণ দাসপুরে খেতে আসা অনেক খাদ্য রসিককেই অনেক ক্ষেত্রে বাসি পচা খাবার খেয়ে শুধু নয়, খাবার দোকানের মালিকের দুর্ব্যবহার সহ্য করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।