নিজস্ব সংবাদদাতা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: প্রসাশনের উদ্যোগে ট্যাপ থেকে পড়ল জল। টানা প্রায় ৫ দিন পর বাড়ির উঠোন থেকেই তৃষ্ণার পিপাসা মেটালো আদিবাসী পাড়ার চঞ্চলা, পুতুল, মঞ্জুরীরা। আমাদের খবরের জেরেই কড়াকড়ি প্রশাসন। মাতব্বরদের কড়া হুঁশিয়ারি, আবার দাসপুরের ওই আদিবাসী পাড়ায় নির্দিষ্ট কয়েকটি পরিবারে পানীয়জল বন্ধ করার চেষ্টা হলে এবার আইনের পথেই কড়া ব্যবস্থা হবে। আজ বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তরফ থেকে, পুনরায় সামাট গ্রামে গিয়ে, পানীয় জলের পাইপ লাইন ও ট্যাপ মেরামত করে জল সরবরাহ চালু করলো প্রশাসন। দাসপুর থানার পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে সামাটের ওই আদিবাসী পাড়ার ৩টি পরিবারে পানীয়জলের সমস্যার সমাধান করে দেয়। উল্লেখ্য দাসপুর থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামাট গ্রামে, গ্রামের কয়েকজনের মাতব্বরিতে, চার দিন ধরে পানীয় জল বন্ধ ছিল কয়েকটি পরিবারের। তাদের সরকার থেকে দেওয়া পানীয়জলের পাইপ লাইনের পাইপ ও ট্যাপ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফে বুধবারই ওই ট্যাপ সারিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সাথে সাথে আবার ওই মাতব্বরদের তরফে ট্যাপ ভেঙে একেবারে সিল করে দেওয়া হয়। তাদের ফতোয়া ছিল কোনওভাবেই ওই পরিবারগুলিকে পানীয় জল দেওয়া যাবে না। পাড়ার অন্য কেউ তাদের সাহায্য করলে তাদেরও জল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সামাট গ্রামের ওই আদিবাসী পাড়ার পুতুল সামাট, মঞ্জুরী সামাট বা চঞ্চলা সয়দের মতো একাধিক পরিবারের উপর এই মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পানীয়জলের সঙ্কটের খবর আমরা স্থানীয় সংবাদের তরফে প্রকাশ করি। আজ বৃহস্পতিবার ওই পাড়ায় জলের লাইন ঠিক করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এমনকি এই ধরনের ঘটনা যদি আবার ঘটে তার অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ওই পাড়ার মানুষজনকে। দাসপুর ১ বিডিও বিকাশ নস্কর জানান,ওই পরিবার গুলির জলের লাইন কাটার খবর পেয়ে তাঁদের তরফে বুধবারই জলের লাইন ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাথে সাথে ভেঙে দেওয়া হয় জলের পাইপ লাইনের ট্যাপ। আজ আবার সারিয়ে দেওয়া হল। তিনি আরও জানান এমন ঘটনা ফের ঘটলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।