নিজস্ব সংবাদদাতা: ছাত্রীকে নিয়ে প্রমোদ-ভ্রমণে দীঘা যাওয়ার কু-প্রস্তাব শিক্ষকের। দাসপুর-১ ব্লকের এক হাইস্কুলের শিক্ষক হোয়াটসঅ্যাপে এই প্রস্তাব দিয়ে মহা ফ্যাসাদে পড়লেন। কারণ, দীঘা যাওয়ার ওই প্রস্তাবের স্ক্রিনশট এখন মোবাইলে মোবাইলে ভাইরাল। শিক্ষক ওই ছাত্রীকে লিখেছিলেন, তোমার সাথে দীঘা যেতে চাই। সব খরচ আমার। ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’ উত্তর দাও। ওই মেসেজ পেয়েই ছাত্রী চটে লাল। ছাত্রী মামলা করার হুমকি দিতে তার বাড়িতে গিয়ে ক্ষমাও চাইতেও যেতে হল ওই শিক্ষককে। সেখানে গিয়ে তিনি ক্ষমাও চাইলেন। তবে ছাত্রীটির বাড়ি ডেবরা এলাকায়। তিনি পাঁশকুড়া কলেজে বাংলায় এমএ করছেন।
এক সময়ের মেধাবী ছাত্র বর্তমানের ওই শিক্ষকটি ক্ষমা চাওয়ার সময়েও মেধার পরিচয় দিয়েছেন। করজোড়ে ক্ষমা চাইলেও স্কুলের নাম ডোবাননি তিনি। নিজের স্কুলের নাম না বলে সুকৌশলে নিজেকে দাসপুর-২ ব্লকের নামী স্কুল গৌরা সোনামুই হাইস্কুলের শিক্ষক বলে পরিচয় দিয়েছেন। ভেবে ছিলেন, ওখানেই চ্যাপ্টার ক্লোজড হয়ে যাবে। বাস্তবে তা কিন্তু হয়নি। ছাত্রীটি ওই কীর্তিমান শিক্ষকের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন। ঘটনাচক্রে গৌরা সোনামুই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত কামিল্যার চোখ পড়ে সেই ভিডিওতে। ভিডিও দেখে তাঁর চক্ষু ছানাবড়া। দেবব্রতবাবু বলেন, ওই শিক্ষক আমাদের স্কুলের নন। উনি দাসপুর-১ ব্লকের পার্বতীপুর হাইস্কুলের শিক্ষক। ওই কুকাজে কেন উনি নিজেকে আমাদের স্কুলের শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিলেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ছাত্রীকে নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণের পরিকল্পনায় আপাতত ব্যর্থ পার্বতীপুরের হাইস্কুলের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য আগামী কাল ৬ অক্টোবর এনিয়ে সোনামুই স্কুলে একটি জরুরি মিটিঙের আয়োজন করা হয়েছে।
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।