বিশেষ সংবাদদাতা: এখনও পর্যন্ত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের খুব স্মৃতি মধুর অভিজ্ঞতা হল না। বেশ কিছু জায়গায় যেমন তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ঠিক একইভাবে কয়েকটি জায়গায় তাঁকে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে। যদিও বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যা দেখলাম মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থাশীল। ভোটাররা আমাদের পাশেই রয়েছেন।
দাসপুর-১ ব্লকের রাজনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাটি ঘাটাল বিধানসভার মধ্য পড়ে। ‘দিদিকে বলো’র কর্মসূচিতে প্রথমের দিকে শঙ্করবাবু রাজনগরে গিয়ে কার্যত ক্ষোভের মুখেই পড়েন। সেখানে যেতে বিধায়ককে বেশ কিছু অপ্রস্তুতকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। নিজেকে তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করে রাজনগর পশ্চিম এলাকার এক ব্যক্তি শঙ্করবাবুকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন? দলের নেতাদের দুর্নীতিগুলো দেখতে পাচ্ছেন না? প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের গায়ে বিজেপির তকমা লাগিয়ে মারধর দেওয়া হচ্ছে। দলীয় নেতা ও সংবাদিকদের কাছে ওই প্রশ্নবাণ শঙ্করবাবুকে বেশ অপ্রস্তুতে ফেলে দেয়।
২৩ আগস্ট ঘাটাল থানার সুলতানপুরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে ‘টিম শঙ্কর দোলই’ বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তৃণমূলের এক কর্মী আক্রান্ত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ বাহিনী নামে। ফলে কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী ওই রাতে আর নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে শঙ্করবাবুর রাত কাটানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ ওই রাতেই শঙ্করবাবুদের ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
২১ আগস্ট ঘাটাল থানার রত্নেশ্বরবাটিতে ওই কর্মসূচিতে গেলে সেখানে বিধায়ককে ঘাটাল-রানিচক রাস্তার ওপর নিয়মিত ইভটিজিঙের মতো ‘অভিনব’ অভিযোগের কথাও শুনতে হয়। সেখানে অসীম চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি বিধায়ককে সামনে পেয়ে বলেন, ঘাটাল-রানিচক রাস্তায় ঘাটাল থেকে মনসাতলা পেরিয়ে কপাটের পুলের সামনে নিয়মিত ইভটিজিং হয়। এর ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কিশোরী, যুবতী এবং গৃহবধূরা যাতায়াত করার সময় নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ উদ্বেগে রয়েছেন। বিধায়ক বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি জানতেন না বলে জানান। আগামী দিনে ওই ইভটিজিঙের বিষয়ে পুলিশকে দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে শঙ্করবাবু আশ্বাস দেন।
বিধায়কের কাছে ঘটনাটি নতুন হলেও ওই পথ দিয়ে নিত্য যাতায়াতকারীরা বলেন, বিকেলের পর থেকে কিছু যুবক কপাটের পুলের সামনে ওই দুষ্কর্ম করে। এর আগে কয়েকটি ছিনতাইয়ের কেসও ঘটেছিল। এলাকার বাসিন্দারা তা পুলিশে জানিয়েছিলেন।