এই মুহূর্তে ক্রীড়া/অনুষ্ঠান অন্যান্য সাহিত্য সম্পাদকীয় নোটিশবোর্ড

E-Paper

ছেলে ঝালমুড়ি আবদার করেছিল,IIT Kharagpur তে গিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা-মা

Published on: January 13, 2025 । 7:33 PM

শ্রীকান্ত ভুঁইয়া, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: শবদেহ বাহী গাড়িটা রবিবারের রাতে এসেছিল। দাসপুর(Daspur) থানার আড়খানা গ্রামের মালিক পরিবারের ২১ বছরের নাতিকে শেষ দেখা দেখে নিলেন ঠাকুমা। শনিবার রাতে মায়ের সাথে ফোনে কথায় কথায় ছেলে বলেছিল মা রবিবার সকালে যখন আসবে ঝাল মুড়ি এনো। ছেলেটি সায়ন মালিক। খড়গপুর আইআইটির(Kharagpur IIT) তৃতীয় বর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের(Electrical engineering) পড়ুয়া(student) ছিল সে। আদিবাড়ি দাসপুরের আড়খানায় হলেও বাবা স্বরূপ মালিক নবান্নে রাজ্যের তথ্য ও পর্যটন দপ্তরের(Department of Information and Tourism) এক আধিকারিক। শহর কলকাতার(Kolkata) কসবায় বসবাস। আড়খানার বাড়িতে ঠাকুমা অলকারানী মালিক একাই থাকেন। ১১ জানুয়ারী শনিবার রাতে মা মৌসুমিদেবী ছেলেকে ফোন করেছিলেন। পরের দিন ছেলের কাছে যাওয়ার কথা। রাতে সায়ন মাকে আবদার করে বলেছিল ঝালমুড়ি আনার কথা। ১২ জানুয়ারি রবিবার সায়নের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর বাবা-মা। হোস্টেলে(Hostel) ঢুকে তার ঘরের দরজা খুলতেই কার্যত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন মৃত পড়ুয়ার অভিভাবক। পায়ের তলা থেকে সরে যায় মাটি। চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায় ছেলের ঝুলন্ত দেহ।

খড়্গপুরে আইআইটিতে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে আইআইটি ক্যাম্পাস(Campus) চত্বরে। আত্মঘাতী নাকি খুন(murder) হয়েছেন ছাত্র, সেই নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের(Post mortem) পর নাতি সায়নের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দাসপুরের আড়খানায়, সেখান থেকেই সোজা কলকাতার কসবা।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, এমন ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে গত বছর জুন মাসে খড়্গপুর আইআইটিতে একই ভাবে উদ্ধার হয় এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। বায়োটেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিল সে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি হল থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পড়ুয়ারা। হলের ছাদ থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে ছিল দেহটি। এরপর এক বছর পেরনোর আগেই আরও একটি রহস্যমৃত্যু। বছর বছর কেনই বা আইআইটিতে বাড়ছে আত্মঘাতীর সংখ্যা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নাগরিক সমাজ। অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপই খেয়ে ফেলছে স্বাভাবিক জীবন? উঠছে প্রশ্ন। এদিকে দাসপুরের আড়খানা গ্রামের মানুষও আবেদন জানিয়েছেন প্রকৃত ঘটনা সামনে আনুক পুলিশ প্রশাসন। তারা আশাবাদী ছিলেন সায়ন তাদের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে।

 

শ্রীকান্ত ভুঁইঞা

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9547022372/9427357237/9732738015 •ইমেল: [email protected] •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad •ফেসবুক: https://www.facebook.com/SthaniyaSambad.Ghatal/

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now