অসীম বেরা, চন্দ্রকোণা: চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের রাস্তায় রাস্তায় ‘করোনা ভাইরাস’ ঘুরে বেড়াছে। আর সেই ‘করোনা ভাইরাস’কে দেখার জন্য ভিড়ও জমছে প্রচুর। না! এই করোনা ভাইরাস সেই করোনা ভাইরাস নয়। করোনা সংক্রমণ নিয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে নিজে ‘করোনা ভাইরাস’ সেজে রাস্তায় নেমেছেন এক কৃষক। ওই কৃষকের নাম তৃণাঙ্কুর পাল। চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার যাদবপুরের বাসিন্দা তৃণাঙ্কুরবাবু তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের বিভিন্নগ্রামে এই ভাবে নিজে করোনা ভাইরাস সেজে সচেতনতামূলক নাটক করে বেড়াচ্ছেন। কখনও পাড়ায়-পাড়ায় কখনও বা হাটে-বাজারে তৃণাঙ্কুরবাবুর নাটকের দল অভিনয় করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে চলেছেন। তিনি নিজেই রঙিন পোশাকের মাধ্যমে এমন আকর্ষণীয় ভাবে করোনার ভাইরাস সেজে অভিনয় করছেন — সেটা দেখার জন্যই সাধারণ মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। শুধু করোনা ভাইরাসই নয়, তাঁর টিমে কেউ চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, কেউ বা অভিনয় করছেন করোনা আক্রান্ত রোগী সেজে। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে সত্যিকারের স্যানিটাইজারও।যেখানেই জনসমাগম বেশি সেখানেই তাঁদের টিম নিখরচায় অভিনয় করে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য সচেতনতা মূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই তাঁদের ব্লকের মানুষজন যেন করোনাতে সংক্রমিত না হন।ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি শহরের মানুষকে অনেক ক্ষেত্রেই করোনা সংক্রমণের সচেতনতার বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারকে এই ভাবে সচেতনতার ভূমিকায় দেখে অভিভূত এলাকার বাসিন্দারা।চন্দ্রকোণা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দোলইও তৃণাঙ্কুরবাবুর সমাজ সচেতনতা মূলক কাজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকেই যা পারেননি তৃণাঙ্কুরবাবু তা করে দেখালেন।তৃণাঙ্কুরবাবুর নিজের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য এর আগেও তিনি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।