নিজস্ব প্রতিনিধি, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি যথেষ্ট খটকা লাগতো, একাধিক মহিলার যাতায়াত,
[✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
একের পর এক এসি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে, সকাল থেকেই বহু জানা-অজানা মানুষের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে, পরে জানাজানি হয় ওই অফিসে টাকা রাখলে কম সময়ে মোটা টাকার মুনাফা। অনেকেই ঘটি বাটি জমি বিক্রি করে সমস্ত টাকা এই অফিসের বসেদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। বিষয়টি নজরে ছিল পুলিশেরও। কম সময়ে কাঁচা টাকায় বেশি মুনাফা মানেই সেখানে কিছু চিট ফান্ডের গন্ধ থাকে। পুলিশের অপরাধ দমন শাখার তরেফে অভিযান চলে ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর প্রায় আড়াইটা থেকে। একটি বাইক এবং কয়েকজন মহিলা সহ মোট প্রায় ১৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ ওই অফিসের বসেদের পাঠানো উকিলদের একটি দল কলকাতা থেকে দাসপুর থানায় পৌঁছায়। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী, দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়ের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বার্তা, আটকদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ, বলা চলে পুলিশ বড়সড় মাথা ধরার চেষ্টায়। পাছে কোথাও আইনের ফাঁক থাকে সে দিকে নজর রেখেই চুপিসারে তদন্ত সারছে পুলিশ। ঘটনা দাসপুর থানার পীরতলার। ওই পীরতলা বাজার চত্ত্বরে এক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলে চলত ওই ব্যবসা। দাসপুরের বহু মানুষ ওই অফিসের এজেন্টের কথায় টাকা লাগিয়েছেন। পুলিশ একেবারে চুল চেরা বিশ্লেষণ করে অন্তর তদন্ত চালাচ্ছে এই ব্যবস্যায় ঠিক কোন পথে টাকা আসতো কতটা আইনের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এই বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। এখন দেখার ওই টাকা বাড়ানোর অফিসের তালা আবার খোলে কিনা।