মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: নিয়ম মেনে হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরলে পুরস্কার পাবেন বাস ড্রাইভাররা। বাস মালিক [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]সংগঠনের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে যদি বাস চালকরা বাস চালান তাহলে তাঁদের আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মানিত ও পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিল বাস মালিক সংগঠন। শুধু সিদ্ধান্ত নয়, ইতি মধ্যে ইন্টার ও ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন ওই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে ঘাটাল তথা পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১০ জন বাস চালককে সম্মানিতও করেছে।
১০ আগস্ট হাওড়া জেলার পাঁচলাতে ইন্টার ও ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের ২৩ তম সম্মেলন ছিল। সেখানেই ওই বাস চালকদের সম্মানিত করা হয়। ওই সংগঠনের ঘাটাল মহকুমার দায়িত্বে থাকা সংগঠনের কার্য নির্বাহী সদস্য প্রভাত পান বলেন, যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে বেপরোয়া ভাবে বাস না চালানো, বাস চালানোর সময় নেশা না করা, দুর্ঘটনায় সামিল না হওয়া এবং যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, এই চারটি মাপ কাঠির উপর বিচার করে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
হাওড়া রেল স্টেশন বাসস্ট্যান্ড থেকে হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ২৫০টির মতো বাস চলাচল করে। তাদের মধ্য থেকে ঘাটাল মহকুমা রুটের গোপাল গোস্বামী ও সত্যনারায়ণ মিশ্রকে, মেদিনীপুর রুটে অমিত পাল, দীঘা রুটের সঞ্জয় প্রধান ও দুলাল মাইতি, নন্দীগ্রাম রুটে তাপস মাইতি, এগরা রুটের পূর্ণচন্দ্র জানা ও হিমাংশু মাইতি, ইটাবেড়িয়া রুটের অমলেন্দু মাইতি এবং ভগবানপুর রুটের দারো খানকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। সংগঠনের সম্পাদক পল্লব মজুমদার বলেন, আমাদের বিশ্বাস এই পুরস্কার বাস চালকদের আরও ভালোভাবে বাস চালাতে উৎসাহিত করবে। আমরা ধারাবাহিক ভাবে এই পুরস্কারটি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
প্রভাতবাবু এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, এটা শুধু হাওড়াগামী বাস চালকদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। আমাদের ঘাটাল মহকুমার পক্ষ থেকেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা ওই চারটি নিয়মকেই মানদণ্ড করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবছি। শুধু এক বছর নয়, প্রত্যেক বছরই এই পুরস্কার দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। এনিয়ে আমরা বাস মালিকরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করব। এর ফলে চালকরা যেমন উৎসাহিত হবে, যাত্রী সুরক্ষাও বাড়বে।