সঙ্গীতা ঘোড়ই: পুরোহিতকে জমি চাষ করতে দিচ্ছেন না তাঁরই গ্রামের বাসিন্দারা। এমনই অভিযোগ উঠল ঘাটাল থানার মোহনপুর গ্রাম কমিটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই গ্রামের পক্ষ থেকে পুরোহিত সত্যসাধন চক্রবর্তী নামে শিবমন্দিরের পুরোহিতকে তাঁর নিজের রায়ত জমি চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মুখেই নয়, গ্রামবাসীরা ৩১ জুলাই ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে জমি চাষ না করার কথা জানিয়েও দিয়েছেন। ঘাটাল ব্লকের বিডিও অরিন্দম দাশগুপ্ত বলেন, সত্যসাধনবাবুকে চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে একটি অভিযোগ এসেছিল। আমি বিষয়টি গ্রামপঞ্চায়েতকে তদন্ত করে দেখতে বলেছি। বর্তমানে কী অবস্থা চলছে তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।
বংশপরম্পরায় শিব মন্দিরের সেবাইত এবং মন্দিরের পুজো করার জন্য সত্যসাধনবাবুর পূর্বপুরুষকে গ্রামের পক্ষ থেকে বহু বছর আগে জমি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে এর কোনও লিখিত প্রমাণ নেই। বর্তমানে সেই জমি ফেরত চাইছেন গ্রামবাসী। মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দিতে চাইছে পুরোহিত সত্যসাধনবাবুকে। পুরোহিতের বয়স ৬৯ বাড়িতে অসুস্থ স্ত্রী। এমন অবস্থায় পুরোহিত বলছেন, আমি শুধু চাই আমরা যেভাবে বংশপরম্পরায় পুজো করে আসছি এই অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা না হোক। আর আমায় আমার নিজের জমিতে চাষ করতে দেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, যদি গ্রামবাসীরা তাঁদের দেওয়া জমির নথি দেখাতে পারেন তাহলে জমি ফেরৎ দিতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কোনও নথি না দেখিয়ে এভাবে চাষ বন্ধ করে দেওয়া হল কেন বুঝতে পারছি না।
ওই গ্রাম কমিটির সম্পাদক শশাঙ্ক মণ্ডল বলেন, আগে এতো আইনের জটিলতা ছিল না। মৌখিক ভাবেই চক্রবর্তী পরিবারকে বেশ কিছু জমি দেওয়া হয়েছিল। পরে পরে সেই সমস্ত জমি ওই পরিবার নিজেদের নামে করে নিয়েছে। আমরাও সেই পুরোনো নথি সংগ্রহ করছি। তারপরই বোঝা যাবে কে ঠিক বলছেন। শশাঙ্কবাবু বলেন, আমরা সত্যসাধনবাবুকে চাষ করতে নিষেধ করিনি। উনি কেন জমি চাষ করেননি তা বুঝতে পারছি না।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।