সেলিম খান, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ১৩ আগস্ট বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘাটাল থানার মারিচ্চা গ্রামের আসিয়া বিবির কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতি হয়েছিল। সেই ডাকাতির ৪৮ঘণ্টার মধ্যে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, সোমবার ১৫ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত তিন দুষ্কৃতী হল বিকাশ মুদি, শেখ মোসারফ ওরফে বাপি এবং আহম্মেদ আলি সরকার ওরফে ছোট্টু। বিকাশের বাড়ি হোদলা, বাপির ও ছোট্টুর বাড়ি রসুলপুর থানা দাদপুর, জেলা হুগলি। আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ওই তিন দুষ্কৃতীকে আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
ঘাটাল-সুলতানপুর রাস্তার পাশেই বৃদ্ধার বাড়ি। ওই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। বাড়ির সামনেই রাস্তার পাশে তিন যুবক একটি গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। বৃদ্ধা বলেন, কেন তারা ওই ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা আমি কৌতূহল বশে তাদের কাছে জানতে চাই। বৃদ্ধার প্রশ্নের উত্তরে তিন দুষ্কৃতী ‘বিশ্বাসযোগ্য’ উত্তরও দেয়। আসিয়া বিবি বলেন, আমাকে তারা বলে, সামনেই পুলিস হেলমেট চেক করছে। আমাদের হেলমেট নেই তাই ভয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। পুলিস পালিয়ে গেলে আমরাও চলে যাব।
ওই কথা শোনার পরই বৃদ্ধা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেন। তারই কয়েক সেকেন্ড পরে ওই তিন যুবক বৃদ্ধাকে পানীয় জল চাওয়ার অছিলায় তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বৃদ্ধকে সামনে পেয়েই মুখে প্রথমে কাপড় বেঁধে দেয়। বৃদ্ধা বলেন, তারপরই একজন আমার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে অন্য দুজন আলমারি তল্লাশি করতে শুরু করে। আলমারিতে যা টাকা ও গয়না ছিল নিয়ে চলে যায়। বৃদ্ধের ছেলে শেখ আসিরুদ্দিন বলেন, আলমারিতে তিন ভরি সোনা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিল সবই খোয়া গিয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়ে ওই পরিমাণ সম্পদ ডাকাতি হয়নি। তবে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে বেশ কিছু রূপা উদ্ধার হয়েছে।