দাসপুরে দিদিকে পিছন থেকে একের পর এক তলোয়ারের কোপ, গ্রেপ্তার ভাই

সৌমেন মিশ্র, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: ভাইয়ের তলোয়ারের কোপে সদ্য প্রসূতি দিদির(sister) মৃত্যু। বাপের বাড়িতে বাচ্চা হতে এসে আর স্বামীর(husband) ঘরে ফেরা হল না সদ্য প্রসূতি মা কৃষ্ণার। নিজের ভাইয়ের(brother) তলোয়ারের একের পর এক পিছন থেকে কোপ। দিদির মাথা পিঠ ক্ষতবিক্ষত(scarred)। রইলো পড়ে তার একমাসের একরত্তি। একরত্তি কন্যাসন্তান(daughter) জানল না কেন তাকে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হতে হল, কেনই বা তার মা(maa) চিরতরে হারিয়ে গেল। বাপের বাড়ি দাসপুর(Daspur) থানার কল্যাণপুর আড়িপাড়ায় বাচ্চা হতে এসেছিলেন বছর সাতাশের কৃষ্ণা লেবু। একমাস আগে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। বাপের বাড়িতে কিছুদিন কাটিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন তেমনটাই কথা ছিল। কৃষ্ণার বাপের বাড়িতে বাবা সুকুমার বোধুক, মা চম্পা বোধুক ছাড়াও ছিল বছর বাইশের ভাই লক্ষ্মীকান্ত বোধুক।

বুধবার দুপুরে টিভি দেখছিলেন কৃষ্ণা। সে সময় পিছন দিক থেকে একটি ধারালো তলোয়ার দিয়ে দিদির পিছনে মাথায় একের পর এক আঘাত করে ভাই লক্ষ্মীকান্ত। সঙ্গে সঙ্গেই সব শেষ। রক্তের(bleeding) প্রবল ধারায় ভেসে যায় ঘরের মেঝে। ঘটনার বীভৎসতা চোখে দেখা বা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পাড়া প্রতিবেশীরা ওই বাড়ি বাইর থেকে তালা মেরে খবর দেয় দাসপুর থানার(Daspur police station)পুলিশে। এসডিপিও(sdpo) অনিমেষ সিংহরায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বাবা এবং ছেলে দুজনকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে মা চম্পাদেবীর অভিযোগ, তার স্বামী সুকুমার ওই তলোয়ার অনেকদিন আগেই কিনে রেখেছিল তাকে খুন(murder)করার জন্য।

এর বেশি আর কিছুই জানা যায়নি। কী কারণে দিদিকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করল লক্ষ্মীকান্ত সেটাও জানা যায়নি। তবে সবথেকে যেটা হৃদয় বিদারক তা হল ক্ষীণ গলায় একরত্তির কান্না। সব বিষাদকে ছাপিয়ে ওই একরত্তির কান্নায় চোখে জল আটকাতে পারছেন না অনেকেই।

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!