শ্রীকান্ত ভুঁইয়া, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: চোরাপথে চাকরি জুটিয়েছিলেন দাসপুর থানার গোবিন্দনগরের বাসিন্দা শুভেন্দু হাটুয়া। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর খামারচক হাইস্কুলের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ওই চাকরি করতেন। তাঁকে বুধবার সিআইডি গ্রেপ্তার করল। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এড়িয়ে ২০১৪সালে শুভেন্দু হাটুয়াকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়েরশিক্ষক হিসেবে খামারচক হাইস্কুলে নিয়োগ করা হয়। যদিও ওইসময় ওই বিষয়ে স্কুলে কোনও শিক্ষক পদ ছিল না। খামারচক হাইস্কুলে দীর্ঘ কয়েকবছর ম্যানেজিং কমিটি নেই। তার পরিবর্তে ডিআই চাপেশ্বর সর্দার সেখানকার স্কুলের প্রশাসক ছিলেন। স্কুলের প্রশাসক একটি অভিনব রেজ্যুলিউশন করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, স্কুলে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন পদ তৈরি হলে শুভেন্দু হাটুয়াকে রেগুলার করে দেওয়া হবে। তিনি একজন পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের মতো মাইনে পাবেন। সেইমতো ২০১৮সালে ওই বিষয়ে শিক্ষক পদ তৈরি হয়। শুভেন্দুকে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে ফিনান্স অ্যাপ্রুভাল পেতে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেটা মঞ্জুর হতেই তিনি নিয়মিত মাইনে পেতে শুরু করেন।
এসএসসিকে এড়িয়ে জালিয়াতি করে শুভেন্দুকে খামারচক হাইস্কুলে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই নিয়োগ দুর্নীতির মাথা ছিলেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তথা স্কুলের প্রশাসক চাপেশ্বর সর্দার ও প্রধান শিক্ষক অশোক হাটুয়া। অভিযোগ, ২০লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ হয়েছিল। এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে একজন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালত ওই ঘটনায় সিআইডিকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো পূর্ব মেদিনীপুরের আই(মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র গতবছর ৪ডিসেম্বর তমলুক থানায় এফআইআর করেন। তাতে শুভেন্দু প্রধান শিক্ষক এবং তৎকালীন ডিআইয়ের নাম ছিল। চাপেশ্বর এবং অশোক জুটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বেআইনি নিয়োগ এবং বদলির র্যাকেটের মাথা বলে পরিচিত। সিআইডি তাঁদের জেরা করে আরও নানা তথ্য বের করছে। এই মুহূর্তে দু’জনেই শ্রীঘরে। শুভেন্দুকে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছে সিআইডি।