মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: গৃহবধূর উপর ধারাবাহিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং এক আত্মীয়া। তারই ফল স্বরূপ শুক্রবার তাদের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন মহকুমা সহকারী দায়রা আদলতের বিচারক মণিকা চট্টোপাধ্যায় নী সাহা। দণ্ডপ্রাপ্তদের নাম গণেশ শী(স্বামী), সুভাষ শী(শ্বশুর),রাধারানি শী(শাশুড়ি) এবং রূপসী প্রামাণিক(মৃত গৃহবধূর বউদি)। গণেশের দু’বছর, শ্বশুর ও শাশুড়ির এক বছর করে এবং রূপসীর ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম তিন জনের বাড়ি দাসপুর থানার নোনানারায়ণচক। রূপসীর বাড়ি ওই থানারই মাগুড়িয়ায়। আসামীদের পক্ষের আইনজীবী অনিমেষ কর্মকার বলেন, এদিনই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আমার মক্কেলরা নির্দোষ। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে গণেশের সঙ্গে মাগুড়িয়ার অনিতা প্রামাণিকের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। মৃতের দাদা সুদীপ প্রামাণিকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে গণেশ ও তার বাড়ির লোকেরা তাঁর বোনের উপর অত্যাচার চালাত। অনিতাদেবীর মৃত্যুর কিছু দিন আগে গণেশ অনিতাদেবীর নিজের বউদি রূপসীর সঙ্গে পরকীয়া লিপ্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচার বাড়িয়ে তোলে। ফলে দিশেহারা হয়ে অনিতাদেবী ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল তাঁর বাপের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার আইও ছিলেন এসআই রাজকুমার দাস। তিনি নিখুঁত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ ও প্রমাণ আদালতে পেশ করেছিলেন। রাজকুমারবাবু বর্তমানে চন্দ্রকোণা থানাতে রয়েছেন।
অনিমেষবাবু বলেন, ওই মামলায় মোট সাত জন আসামী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওই চারজনের কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে। বাকিদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।