তৃপ্তি পাল কর্মকার, সম্পাদক, ‘স্থানীয় সংবাদ‘: সারা রাজ্যের সঙ্গে ঘাটাল মহকুমার তিনটি থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষোভ ক্রমশ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। ১২ সেপ্টেম্বর চন্দ্রকোণা [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] থানার মল্লেশ্বরপুরের বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাজকুমার মণ্ডলের(৩২) দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর সেই ক্ষোভ আরও বেড়ে চলেছে। সিভিকদের অভিযোগ, চন্দ্রকোণা থানার কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টরের খামখেয়ালিপনার জন্যই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের অকাল মৃত্যু হল। ওই রাতে রাজকুমারবাবুকে জোর করে বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে রাতে রাস্তায় নামিয়ে গাড়ি থামানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে লরি পিষে দিলে তাঁর মৃত্যু হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি এলাকার সঙ্গে থানার নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করার জন্য কম মাইনের এই সিভিকদের নিয়োগ করেছিলেন। প্রত্যেকটি গ্রামে এবং ওয়ার্ডে একজন করে এই সিভিক নিয়োগ করা হয়। যেহেতু সিভিকদের বেতন খুবই কম তাই এক এক জন সিভিকের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কিম্বা পাঁচ-ছ’ কিলোমিটারের মধ্যে ডিউটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, কোনও সিভিকের আচরণ পছন্দ না হলে কিম্বা কোনও সাব-ইন্সপেক্টরের কোনও সিভিককে ‘না-পসন্দ’ হলে তাঁকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে গঞ্জ পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাইকের তেল পুড়িয়ে যেতে হয় নিজেদেরই। শুধু তাই