পম্পা গুছাইত, অতিথি সাংবাদিক, ‘স্থানীয় সংবাদ’: জন্মেই কেউ অপরাধী হয় না।পরিস্থিতি [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]তাকে অপরাধী তৈরি করে। সেভাবে যদি বলি, একটি শিশু চোর বা খুনি হয়ে জন্মায় না,হয়তো তার মা-বাবা তাকে অপরাধ করতে শেখান না ঠিকই কিন্তু ওই শিশুটি নিজের চারপাশে যা-যা দেখে বড় হয় তাই করার চেষ্টা করে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, বাড়িই হল একটা শিশুর প্রথম পাঠশালা। শিশুরা অনুকরণ করতে করতে বড় হয়। তাই মা,বাবা এবং বাড়ির অন্যান্য সদস্য যেমন দাদু, ঠাকুমা, কাকু, জেঠু এদের উচিত শিশুর সামনে এমন কিছু কাজ না করা যেটা থেকে তারা ভুল কিছু শিখে অপরাধের জগতে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়।কারণ একবার যদি শিশুটি অপরাধ জগতে পা দেয় তাহলে তাকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা খুব মুশকিল। প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়া প্রত্যেকটি শিশুর মৌলিক অধিকার।শুধু তাই নয় কৈশোর বয়সেও যেন সে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত না হয় আর এগুলো খুব ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে তার মা-বাবাকে। লেখাপড়া শিখে কী হবে? সেই তো মজুর খাটতে হবে বা সোনার কাজে বাইরে যেতে হবে। এই মানসিকতার পরিবর্তন আনা দরকার। শুধুমাত্র চাকরি পাওয়ার জন্য লেখাপড়া শিখতে হবে, এই ভাবনা যতদিন না আমরা পরিবর্তন করতে পারব ততদিন আমাদের সমাজ তথা দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। নেপোলিয়ন তাঁর কোনও একটা বক্তৃতায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তোমরা আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো। আমাদের দেশে শিক্ষার অবনতি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আশ্চর্যের বিষয় এটা নিয়ে নেতা বা দেশের কর্মকর্তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
সাম্প্রতিক একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই কিভাবে আমাদের সমাজে ভবিষ্যত প্রজন্ম অবক্ষয়ের অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। খারাপ লাগলেও দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। কারণ কে শুনবে কার কথা?সাম্প্রতিক ঘটনাটি হল ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার অন্তর্গত অভিরামপুর গ্রামের এক তরুণ মাত্র ষোলো বছর বয়সে মা-বাবা এবং পরিবারের ভুল শিক্ষা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাজস্থানে সোনার কাজে যান। কিছুদিন যাওয়ার পর ছেলেটি দোকানের সোনা চুরি করে ধরা পড়ে এবং বাড়িতে খবর দেওয়ায় ব্যাপারটা মোটামুটি মিটিয়ে নেয় এবং চুরির খেসারত হিসাবে প্রায় ৩০হাজার টাকা দেন যুবকের বাবা।সমাজের মানুষ হিসাবে সত্যিই এটা আমার কাছে খুবই লজ্জার এবং দুঃখের।