মনসারাম কর ও শ্রীকান্ত ভুঁইয়া, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: গ্রাহকদের বেশ কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]করার অভিযোগে দাসপুর থানার পলাশপাই শাখা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মহানন্দ মাইতিকে গ্রেপ্তার করা হল। মহানন্দ মাইতির বাড়ি পলাশপাইয়ের পাশের গ্রাম আজুড়িয়াতে। ১৭ জুন রাত ৮টা নাগাদ মহানন্দ মাইতিকে তার বাড়ি থেকেই দাসপুর থানার পুলিশ গিয়ে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মহানন্দ মাইতির বিরুদ্ধে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আজ ১৮ জুন দুপুরে তাকে ঘাটাল আদালতে তোলা হবে।
গ্রাহকদের বয়ান অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে ওই পোস্ট মাস্টার প্রতারণার কাজ শুরু করে। আজুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আরতী পাল, ফুলটুসি দাস, দিপালী দাস সহ বেশ কয়েক জন গ্রাহকের অভিযোগ, তাঁরা পলাশপাই ডাকঘরে নিয়মিত টাকা জমা দিতেন কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন মহানন্দ মাইতি সেই টাকা ডাকঘরে জমা না দিয়ে রোজভ্যালি নামে চিটফাণ্ডে জমা দিয়ে দিত। মাঝে সেই টাকা তুলতে গেলে পোস্ট মাস্টার গ্রাহকদের বলতেন ২০১৯ সালে টাকা তোলা যাবে। কিন্তু তারপরও গ্রাহকরা হাতে টাকা না পেয়ে ওই ডাকঘরের ওপরের ডাকঘর তথা সেকেন্দারি সাব পোস্ট অফিসে জানান। সেকেন্দারি পোস্ট অফিস জানিয়ে দেয়, গ্রাহকদের টাকা ডাকঘরে জমা পড়েনি তাই তারা কিছু করতে পারবে না। আরতী পাল বলেন, তারপরও আমরা টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য মহানন্দ মাইতির সঙ্গে বার বার দেখা করি। তিনি তো টাকা ফেরৎই দেননি পরন্তু তার স্ত্রী চম্পা পাইকার মাইতির দ্বারায় আমাদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। গ্রাহকরা বলেন, আমরা পরিশেষে কয়েক দিন আগে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করি।