সোমবারের বিকেল সাড়ে ৩টায় সাড়ে ৩ মিনিটের ঝড়,ঝড়ে উড়েছে দাসপুরের যদুপুরে কাঁসাই নদীর উপর বাঁশের সাঁকো,স্তব্ধ পারাপার সমস্যায় দাসপুর ১ ব্লকের কাঁসাইয়ের দুই পারের দশটিরও বেশি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। আজ মঙ্গলবার সাত সকালেই ঝড়ে এলার ক্ষয়ক্ষতি ঘুরে দেখলেন জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র।
দাসপুর ১ ব্লকের বালিপোতা সামাট হোসেনপুর,রাজনগর এলাকায় ঘুরে ঘুরে গতকালের ঝড়ের তাণ্ডবে মানুষের সমস্যা নিজের চোখে দেখলেন। পাশাপাশি ঘুরে দেখলেন দাসপুরের যদুপুরের সেই তেমুনি ঘাট। এই ঘাটের বাঁশের সাঁকোই সোমবারের বিকেলের ঝড়ে ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
কয়েকমাস আগেই ঘাট মালিক বিশ্বনাথ মণ্ডল ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘাট ডাকে ধরেছিলেন। তিনি জানান, লকডাউনে এমনিতেই মানুষের যাতায়াত নাই,আয় নাই। তার উপর ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে গেল সাঁকো। সারাতে অন্ততপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার ধাক্কা। এই ঘাট পারাপারের আয়েই চলে সংসার। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের তরফে শ্যামবাবু ওই ভাঙা ঘাট ঘুরে দেখতে গেলে ঘাট মালিক আবেদন জানালেন প্রশাসনের সহায়তার।
অন্যদিকে দিকে সামাট গ্রামের গ্রামে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ঘুরে দেখতে গিলে গ্রামবাসীদের ভাঙা বাড়ি প্রশাসনের তরফে সারিয়ে দেওয়া চরম আকুতি দেখা গেল। তবে কর্মাধ্যক্ষ শ্যমপদ পাত্রের আশ্বাস,তিনি এলাকার মানুষদের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান এবং তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে জেলা শাসকের কাছে পাঠাবেন এবং যদুপুরের বাঁশের সাঁকো দ্রুত চালু করে পারাপার শুরু করার ব্যবস্থা করবেন।