মন্দিরা মাজি,👆 স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার প্রবলভাবে দেখা দিল করোনা ভাইরাস। গত বৎসর ঠিক এমনই সময়ে করোনা নামক মারণ ভাইরাসটি মানুষের নিত্য জীবনযাত্রাকে থমকে দিয়েছিল। সেই করোনাতে অনেকেই তাঁদের আপনজনকে হারিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে বারে বারে লকডাউন ঘোষণা করতে হয়েছিল। লকডাউনের জেরে বহু পরিবারকে আর্থিক সঙ্কটের মুখেও পড়তে হয়েছিল। সেই করোনার রেস পুরোপুরি কাটতে না কাটতেই সারা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ভারতে তথা বাংলাতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রবেশ করে গিয়েছে। প্রত্যেক দিন লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মারাও যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু রাস্তাঘাটে বেরোলে মনে হয়, করোনার এই শক্তিশালী দ্বিতীয় ঢেউকে অনেকেই সেভাবে তোয়াক্কা করছেন না। তাঁদের ভাবটা এমন, এতো দিন যখন কিছু হয়নি আর কিছু হবে না। তাই তাঁরা মুখে মাস্ক বা পকেটে স্যানিটাইজার রেখে তা ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করছেন না। করোনা প্রতিরোধের জন্য যেসমস্ত আবশ্যিক জিনিসগুলি (মাস্ক,স্যানিটাজার,) বেশিরভাগ মানুষকেই ব্যবহার করতে না দেখতে পেয়ে সচেতন নাগরিকরা প্রচণ্ডভাবে উদ্বিগ্ন। দু-একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়াই অনায়াসে লোকালয়ে,বাসে, কাজের জায়গায়,রাস্তা-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, যদিও করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে। কিন্তু এখনও বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসতে পারেনি। তাই বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পরেই বেরোতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে যে কোনও সময় যে কোনও মানুষকে এই মারণ ব্যাধি আক্রমণ করবে এবং তা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
👆 আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলটি লাইক করুন