তৃপ্তি পাল কর্মকার: নিজের জেলায় বদলির দাবি নিয়ে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিলেন বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলায় কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ৮ জানুয়ারি ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দা তথা ঝাড়গ্রাম জেলার বেশ কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজ জেলা, নিজ ব্লকে বদলির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ঘাটাল মহকুমা শাসকের দপ্তরে ও এসআই অফিসে স্মারকলিপি দেন। ঘাটালের মহকুমার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল স্মারকলিপি দিতে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্যগুলি মনযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি বলেন, বদলির বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরের এক্তিয়ারভুক্ত। আজকে স্মারকলিপির বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেব।
প্রসঙ্গত, শিক্ষকদের তাঁর নিজের জেলার স্কুলে পড়ানোর সুযোগ দিতে চেয়ে গত বছর সরস্বতী পুজোর মুখে সুখবর শুনিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি সকালে মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লিখেছিলেন, সরস্বতী পুজোর ঠিক আগে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঘোষণা করছি, আমাদের সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত শিক্ষককে তাঁদের নিজের জেলায় পোস্টিং দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
তিনি লিখেছিলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষকরা নিজের জেলার স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পেলে বাড়িতে এবং পরিবারেও সময় দিতে পারবেন। আর মনে শান্তি থাকলে দেশ গড়ার মহান কাজে সম্পূর্ণ পূর্ণ মনোনিবেশ করতে পারবেন তাঁরা।
ঘাটাল শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমা পাল ঝাড়গ্রামের বীনপুরের নিপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বাড়ি থেকে সোমাদেবীর স্কুলের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। দাসপুর ১ ব্লকের জনার্দনপুরের বাসিন্দা মিঠু ভট্ট ঝাড়গ্রামের গোপী ওয়েষ্ট ব্লকের জালবেন্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাঁরও বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। দাসপুর-১ ব্লকের কাকদাঁড়ির বাসিন্দা সন্দীপ ভুঁইয়া ১৩৫ কিলোমিটার দূরে ঝাড়গ্রাম গোপীবল্লভপুরের তপশিয়া সার্কেলের রঘুনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সোমাদেবী, মিঠুদেবী এবং সন্দীপবাবুরা বলেন, আমাদের মতো বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন যাঁরা বাড়ি থেকে ১৫০ থেকে ২০০কিলোমিটার দূরে গিয়ে ওই জেলায় স্কুল করতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণা এবং ইচ্ছে থেকে বঞ্চিত রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আমাদের মতো ৯০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা। এর মধ্যে ঘাটাল মহকুমারও বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। দূরত্বজনিত কারণে তাঁরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। তাই বর্তমানে অন্য জেলায় চাকরি করা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিষয়টি সরকারকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য আবেদন জানান। তাঁদের আবেদন না মানলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।
নিজেদের জেলায় বদলির দাবি নিয়ে ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডেপুটেশন








