তৃপ্তি পাল কর্মকার: মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের চিন্তা ভাবনার স্তরে রয়েছে। যেটা বলা হচ্ছে ১৮ বছর বয়স উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য যথেষ্টই কম। তাই বিয়ের গড় বয়স বাড়িয়ে দিলে মেয়েরা শিক্ষা লাভের জন্য যথেষ্টই সময় হাতে পাবে। এই যুক্তি খুব অকাট্য যুক্তি। নারীবাদী সংগঠনগুলি মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার। সত্যি কথা এটাই যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের গণ্ডি পেরোতেই কেটে যায় ১৮ বছর। তারপর হায়ার এডুকেশনের জন্য আরও পাঁচ সাতটি বছর। হায়ার এডুকেশনে আগ্রহী মেয়েরা বেশিরভাগই এমনিতেও ১৮ বছরে বিয়ে করেন না। বিয়ের বয়স ১৮ নাকি ২০ —সেই ব্যাপারে তাঁরা মাথা ঘামানোর সময় পান না। বরং বিয়ের কথা না ভেবে তারা পড়াশোনাতে আগ্রহী থাকেন। ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এরকম একটা চিন্তা ভাবনা তাদের মনের মধ্যে থাকে।
কিন্তু ১৮ বছরের অপেক্ষা না করেই বিয়ে করতে চায় এমন মেয়েও কিন্তু নেহাত কমটি নেই। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের কী করে ধরে রাখা যাবে সেই চিন্তায় বাড়ির লোকেদের ঘুম ছুটে যায়। পড়া ধ্যান জ্ঞান এমন মেয়েও যেমন আছে, প্রেম, মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধ্যান-জ্ঞান এমন মেয়েও কম নেই। সরকারি ভাবে বা আইন মোতাবেক বিয়ের বয়স বাড়িয়ে দিলে এই সব ‘অরক্ষণীয়া’ মেয়েরা কি আদৌ উচ্চশিক্ষায় মনোনিবেশ করবে? বরং এদেরকে নিয়ে প্রশাসনকে আরও সমস্যাতেই পড়তে হবে। এরা এদের ইচ্ছে মতো সময়ে বিয়ে করবেই। সেটা ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ বা ২০ যে বয়সই হোক না কেন। এদের বিয়ের বয়স বাড়ালেই চাপ বাড়বে পুলিশ ও প্রশাসনের। অকারণে মিথ্যা কেসে ফাঁসবে কিছু যুবক।
তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে, বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ রাখা হোক। আর উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী মেয়েদের বিয়ে নির্ভর করুক তাদের নিজের ইচ্ছের উপর।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।