মোনালিসা বেরা: ব্রাহ্মণকে দিয়ে পুজো দেওয়ার নিয়ম নেই ক্ষীরপাই শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশানকালী মন্দিরে। রীতি অনুযায়ী নিজেদের ইচ্ছে পূরণের পুজো নিজেদেরই দিতে হয়। ক্ষীরপাইয়ের শ্মশান কালীর পুজোর ইতিহাস খোঁজ নিতে গিয়ে এমনটাই জানা গেল। •প্রতিমার ভিডিও দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
শহরের কেঠিয়া খালের পাড়ে এক কালী মন্দিরে দুটি বিশালাকার কালী মূর্তি রয়েছে। একটির উচ্চতা ৩০ ফুটেরও বেশি। অন্যটি ১৫ ফুটের মতো। এতো বড় উচ্চতার কালী মূর্তি ঘাটাল মহকুমায় তো বটেই পাশপাশি আর কোথাও রয়েছে বলে জানা নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেল, প্রায় ২৫ বছর আগে এক ভক্তের উদ্যোগেই প্রথমে ১৫ফুটের মৃণ্ময়ী কালী মূর্তি তৈরি হয়। পাঁচ বছর পরে তিনিই আবার কংক্রিটের ওই বিশালাকার দ্বিতীয় মূর্তিটি তৈরি করার ব্যবস্থা করেন।
পুজো-আচ্চার জন্য এই মন্দিরের রয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য। যেগুলো সাধারণত অন্যান্য কালী মন্দিরে দেখা যায় না। এই মন্দিরের কোনও পুরোহিত নেই। দর্শনার্থীরা নিজেদের পুজো নিজেরাই করে থাকেন। নিত্য পুজো ছাড়াও প্রতি অমাবস্যায় পূজিতা হন দুই কালী মূর্তিও। আর এই মন্দিরে প্রণামী দেওয়া যায় না। পৃথিবীতে অনেক মন্দির আছে যা নিজের সৌন্দর্য্যের জন্যে বিখ্যাত। কিন্তু এই সকল বিষয়ই এই পুজোকে আলাদা করেছে ক্ষীরপাইয়ের অন্যান্য পুজোর থেকে। এই মন্দিরের আর এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এই মন্দিরের কোনও মালিক নেই। রক্ষাকর্ত্রী কালী নিজেই তাঁর মন্দির রক্ষা করেন। তাই এই মন্দিরে কখনও চাবি দেওয়া হয় না।
তবে প্রতি বছর দীপাবলির দিন দুজন পুরোহিত দ্বারা বড়ো পুজো করা হয় দুই কালী মূর্তির। দু’টি মূর্তির দু’ভাবে পুজো করা হয়। ছোট কালীর কাছে ছাগ বলি দেওয়া হলেও বড় কালীর পুজোতে ছাগ বলি চলে না। তাই তাঁকে শুধু ফল দিয়েই পুজো করতে হয়। ওই সময় প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এই মন্দির প্রাঙ্গণে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে করোনার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এবার পুজো করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং ব্রাহ্মণকে দিয়ে নয়, ক্ষীরপাই শহরের ৩০ ফুটের শ্মশান কালীর পুজো নিজেদেরকেই দিতে...