নিজস্ব সংবাদদাতা: ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে কম্পিউটার শেখানোর নাম করে স্কুলে নিয়ে গিয়ে ধারাবাহিক যৌন অত্যাচার ও ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছিল চন্দ্রকোণা থানার মনোহরপুর শ্রীরামকৃষ্ণ হাইস্কুলের শিক্ষাকর্মী দিলীপ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। দিলীপ প্রামাণিকের বয়স ৪৮ বছর। শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীর চিৎকারে বিষয়টি জানা জানি হলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দিলীপ প্রামাণিক। সোমবার রাতে তাকে মেদিনীপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হল। দিলীপ প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করার খবর গ্রামে পৌঁছালে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে ওই ধর্ষিতার বাড়ির লোকেরা। ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমাদের বিশ্বাস এবার অভিযুক্ত প্রকৃত শাস্তি পাবে।
ওই ছাত্রী এবং অভিযুক্ত দু’জনের বাড়িই মনোহরপুরে। স্কুলের গ্রামে বাড়ি হওয়ায় দিলীপ প্রামাণিকের কাছেই স্কুলের চাবি থাকত। লকডাউনের বাজারে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কম্পিউটার শিখিয়ে দেওয়ার জন্য দিলীপ প্রামাণিক প্রস্তাব দেয়। সরল মনে ছাত্রীটি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে। ছাত্রীটির অভিযোগ, সে কম্পিউটার শেখার জন্য একাই বিকেলের দিকে স্কুলে যেত। সেই সময় স্কুলে কেউই থাকত না। স্কুলের মধ্যে তার যৌন অত্যাচার করার পাশাপাশি বেশ কয়েকবার ধর্ষণও করা হয়। ছাত্রীটি অস্বস্তি বোধ করলে দিলীপ সরাসরি জানিয়ে দেয়, বিষয়টি বাড়িতে বা অন্য কেউ জানলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বদনাম করে দেওয়া হবে। সেই ভয়ে ছাত্রীটি এতো দিন কিছু বলেনি। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে যৌন অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করে। স্থানীয়রা জানতে পেরে স্কুল ঘেরাও করে। দিলীপ কোনও ভাবে মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়। চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাকে মেদিনীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষিতার পক্ষের আইনজীবী সমীর ঘোষ বলেন, আজ ২২ সেপ্টেম্বর ঘাটাল আদালতে তোলা হবে।
• ছবিটি প্রতীকী। ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।